ঢাকা, রবিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩২, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

সারাদেশ

ব্যারাকে মিলল পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ, স্বজনদের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৫
ব্যারাকে মিলল পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ, স্বজনদের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড পুলিশ কনস্টেবল শামীম রেজা সাজু: ফাইল ফটো

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দর্শনার জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশনে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল শামীম রেজা সাজুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে স্বজনরা।  

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মরদেহ ও ঘটনাস্থল দেখার পর এমন দাবি করেন নিহত পুলিশ সদস্যের বাবা হাশেম আলী ফরাজী ও চাচা মশিউর রহমান।

যদিও পুলিশের দাবি, এটি আত্মহত্যা, তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

কনস্টেবল শামীমের সেজ চাচা মশিউর রহমান দাবি করে বলেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন থেকে শামীমের মৃত্যুর খবর জানতে পারি। খবর পেয়ে আমরা চুয়াডাঙ্গায় আসি। প্রথমে মরদেহ দেখি এবং পরে ঘটনাস্থলে যাই। যে শয়ন কক্ষ থেকে পুলিশ সদস্য শামীমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয় সেই কক্ষের সিলিং ফ্যানে রশি টানানো দেখিনি। সিলিং ফ্যানের পাখা সামান্য বাঁকা হয়ে ছিল। এছাড়া ওই কক্ষের দরজার কোনো ছিটকিনি ভাঙা নয়। শুধুমাত্র ছিটকিনির তিনটা পেরেক তোলা ছিল। নাট খোলা ছিল। এমন কিছু দৃশ্য দেখে আমাদের ধারণা শামীমকে হত্যার পর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

শামীমের বাবা হাশেম আলী ফরাজি বলেন, আমার ছেলে আত্মহত্যা করবে এমন কোনো কারণ দেখি না। আমাদের সুখি পরিবার। আমার তিনটি ছেলেই চাকরি করে। শামীম ছিল সবার ছোট। পারিবারিকভাবে আমাদের মধ্যে কোন ধরনের দ্বন্দ্ব বা বিবাদ ছিল না। মানসিকভাবেও সে স্বাভাবিক ছিল। সে কেন আত্মহত্যা করবে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

মৃত শামীম কুষ্টিয়ার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারে স্ত্রী ও একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। গত অক্টোবর মাসে তিনি দর্শনার জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন পুলিশে যোগ দেন। এর আগে শামীম চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। তার কনস্টেবল নম্বর- ৫৩২।

এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ইমিগ্রেশনের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সহকর্মীরা জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কয়েকজন সহকর্মী খোঁজ নিতে গেলে শামীম হোসেনকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস ও সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সে সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস জানান, তার মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।