নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নে স্থানীয় যুবদলকর্মী ইয়াছিন আরাফাত শাকিলকে (২৮) গুলি করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তাল ও গুলি।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান জানান, নিহত শাকিলের বাবা মো. সোলাইমান খোকন বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের যৌথ টিম গঙ্গাবর বাজারের পাশের একটি পরিত্যক্ত ডোবার পাশের ঝোঁপ থেকে সেমি অটোমেটিক একটি পিস্তল এবং পিস্তরের সঙ্গে থাকা একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে।
এর আগে, ঘটনার পরপরই সোমবার রাতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের যৌথ টিম ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড তাজা গুলি ও এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে।
সোমবার রাত ৮টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজার থেকে আট/নয়জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লাবিব নামে এক কিশোরকে অপহরণের চেষ্টা করেন। এ সময় যুবদলকর্মী ইয়াছিন আরাফাত শাকিলসহ কয়েকজন মিলে সন্ত্রাসীদের বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা শাকিলকে গুলি করে হত্যা করেন। ঠেকাতে গেলে অস্ত্রের আঘাতে শাকিলের ছোট ভাই ছাত্রদলকর্মী মোজাম্মেল হোসেন শুভর মাথা ফাঁটিয়ে দেওয়া হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন তিন যুবককে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেন।
তারা হলেন উপজেলার ধীতপুর গ্রামের মোরশেদ আলম (২৫), জীবন (২৪) ও মনির হোসেন (২২)। তাদের মধ্যে দুজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এসআই