হবিগঞ্জ জেলায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১০৩ কিলোমিটারজুড়ে দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রোহিঙ্গা ও বিদেশি নাগরিকদের পুশইন ঠেকাতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে বিজিবির হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জেলার চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলায় বিজিবির ১৬টি সীমান্ত ফাঁড়ির বর্ডার আউট পোস্টে নিয়মিত টহল এবং গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো হচ্ছে। দুই স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের চলাচলের ওপর রয়েছে কঠোর নজরদারি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিলুর রহমান আরও বলেন, সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে নিয়মিত সচেতনতামূলক সমাবেশ আয়োজন করছে বিজিবি। ১০৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সীমান্তরক্ষীরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে যেকোনো সন্দেহজনক অনুপ্রবেশ তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিরোধ করা যায়।
সীমান্তে যেকোনো ধরনের পুশইন প্রতিরোধে আমরা প্রস্তুত। দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষা করাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব—বলেন তিনি।
এদিকে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে কিছুটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। ভারতীয় অংশে আগে লাল হ্যালোজেন লাইট ব্যবহার করা হলেও এখন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) উজ্জ্বল এলইডি লাইট, নজরদারি ক্যামেরা এবং সেন্সর প্রতিস্থাপন করছে।
এসআরএস