মাগুরা: আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে বাকি তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন তিনি।
রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিশু আছিয়ার স্বজনরা। তাদের দাবি, হিটু শেখকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হলেও, বাকি আসামিরা ধর্ষণ ও হত্যায় সহায়তা করেছে— তাদের খালাসে ন্যায়বিচার হয়নি।
শিশুটির মা বলেন, এই মামলায় আলামত নষ্ট ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত চার আসামির শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। তদন্তে গাফিলতির কারণে একজনকেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, যা যথাযথ ন্যায়বিচার নয়। আদালতের পর্যবেক্ষণে বিষয়গুলো আরও স্পষ্টভাবে উঠে আসা প্রয়োজন ছিল।
অপরদিকে, দণ্ডপ্রাপ্ত হিটু শেখের মেয়ে নাসরিন আক্তার বলেন, আমরা গরিব মানুষ, ভালো আইনজীবী নিতে পারিনি। সরকারিভাবে যে আইনজীবী দেওয়া হয়েছিল, তিনিও আমাদের পক্ষে তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। আমার বাবা, মা ও ভাইদের অন্যায়ভাবে মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সামাজী বলেন, মামলার সকল কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে এবং প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই করেই আদালত রায় দিয়েছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হিটু শেখের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। এই রায় একটি দৃষ্টান্ত, যেন ভবিষ্যতে আর কোনো শিশু বা নারী এমন পাশবিক নির্যাতনের শিকার না হয়।
এমজে