ঢাকা, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০১ জুন ২০২৫, ০৪ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

সেন্টমার্টিনে তলিয়ে গেছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, খাদ্য সংকট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১০, মে ৩০, ২০২৫
সেন্টমার্টিনে তলিয়ে গেছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, খাদ্য সংকট সেন্টমার্টিনের তলিয়ে গেছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। ছবি: বাংলানিউজ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের কারণে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এতে জোয়ারের পানি ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হয়ে দ্বীপের চারপাশে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এরই মধ্যে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে সেন্টমার্টিনের অন্তত অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এছাড়া জোয়ারের আঘাতে ঘাটে নোঙরে থাকা অন্তত পাঁচটি মাছ ধরার ট্রলার বিধ্বস্ত হয়েছে।  নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে দ্বীপটিতে।

সেন্টমার্টিন ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ফুট জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় দ্বীপের গলাচিপা, কোনাপাড়া, দক্ষিণপাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া মাছ ধরার ৫টি ট্রলার জোয়ারের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, রাতে বাতাস একটু কমেছে। তারপরও আমরা হোটেল-মোটেলসহ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। এছাড়া বিএন স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে। এদিকে চারদিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দ্বীপের মানুষের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। দ্বীপের মানুষের খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। তার ওপর সকাল থেকে ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়েছে। এতে সাগরের পানির উচ্চতা বেড়েছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান ও আব্দুল মালেক বলেন, জোয়ারের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দ্বীপের সাগরের তীরে থাকা কয়েকটি এলাকায় পানি ঢুকেছে। এতে সেন্টমার্টিনের চারদিকে ভাঙন ধরেছে। এছাড়া অনেক ঘরবাড়ি পানিবন্দি অবস্থায় আছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের পানি সেন্টমার্টিন দ্বীপের লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া ঘাটে নোঙরে থাকা মাছ ধরার ট্রলার বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে আতঙ্কের কিছু নেই, সেন্টমার্টিনের জনপ্রতিনিধিরা সবাই একযোগে কাজ করছে। কোনো ধরনের সমস্যা হলে লোকজন সরিয়ে এনে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে। এখন লোকজনকে সরিয়ে আনার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

তিনি আরও বলেন, গেল ৪ দিন ধরে বৈরী আবহাওয়া। সেন্টমার্টিনে মালবাহী ট্রলারগুলো যেতে পারেনি। যার কারণে খাদ্য সংকটের দিকে যাচ্ছে। তবে আশা করি, আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছে। হয়তো দ্রুত খাদ্য পণ্যবাহী ট্রলারগুলো সেন্টমার্টিনে পৌঁছানো যাবে।

এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।