খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান মোল্লা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে ঘাতকদের চিহ্নিত করা গেছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি দেখে স্থানীয়রাও বলছেন, চরমপন্থী নেতা হুমার সহযোগীরাই এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন।
ঘটনার পর সড়কের দুইপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। স্থানীয়দের মাধ্যমে ফুটেজের কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবককে শনাক্ত করে এলাকাবাসী।
ফুটেজে দেখা যায়, হত্যার সময় মোটরসাইকেলে চালকের আসনে ছিলেন রায়হান, মাঝখানে বসা ছিলেন আসিফ এবং পেছনে ছিলেন ইমন নামের এক তরুণ। তারা সবাই অস্ত্র মামলায় আট মাস কারাগারে ছিলেন এবং গত জুনের শেষ দিকে জামিনে ছাড়া পান।
এদিকে, মাহবুব মোল্লার অবস্থান ঘাতকদের জানিয়ে দেওয়া প্রতিবেশী সজলকে (২৭) শনিবার রাতে মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে আরও তথ্য পেতে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী বাংলানিউজকে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিনজন যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত কি না তা যাচাই করা হচ্ছে। তবে তারা চরমপন্থী দলের সদস্য—এটা নিশ্চিত।
গত শুক্রবার দুপুরে দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির গেটে প্রাইভেটকার ধোয়ার কাজ করছিলেন মাহবুব। তাকে সাহায্য করছিলেন একই এলাকার ভ্যানচালক গাজী সোলায়মান নামের এক যুবক।
এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা তিনজন যুবক গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মাহবুবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ঘাতকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পায়ের রগ কেটে দেয়।
গুলির শব্দ শুনে পাশে থাকা ভ্যানচালক সোলায়মান পালিয়ে গেটের ভেতর ঢুকলে তাকেও লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলি মাহবুবের বাড়ির প্রাচীর, মূল গেটসহ আশপাশের ভবনে লাগে।
ঘটনার একদিন পর, অর্থাৎ শনিবার নিহত মাহবুবের বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মাহবুব মোল্লার বিরুদ্ধে দৌলতপুরসহ বিভিন্ন থানায় মাদক, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে আটটি মামলা রয়েছে।
এমইউএম/আরএইচ