ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৯ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

বিএনপি-জামায়াতের কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে: মঞ্জু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:২৭, জুলাই ১৪, ২০২৫
বিএনপি-জামায়াতের কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে: মঞ্জু বক্তব্য দিচ্ছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, এখন কেন বিএনপি জামায়াত উভয় পক্ষ একজন আরেক জনকে তালাক দিচ্ছে? জাতীয় স্বার্থে বিএনপি-জামায়াত কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে।  

সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে ফেনী প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, পরস্পরের বিরুদ্ধে হানাহানি পরিত্যাগ বন্ধ করতে হবে। আমরা যদি ৯১ সালের আগের রাজনীতি করি তাহলে মানুষ আমাদের পরিত্যাগ করবে। আজকের যে নতুন প্রজন্ম রাজনীতিতে আসছেন এটা ভালো দিক। রূপান্তরের মধ্যদিয়ে আগামী দিনে রাজনীতিতে নতুন কিছু উত্থান ঘটবে। একে অপরের প্রতি স্বার্থ নিয়ে আঙুল তুলাতুলি বন্ধ করুন।  

এসময় এবি পার্টির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম বাদল, জেলা সদস্য সচিব মুহাম্মদ ফজলুল হক, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আফলাতুন বাকি, যুগ্ম সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম কামরুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সাজু, ফেনী পৌর আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ সেলিম প্রমুখ।
 
মজিবুর রহমান মঞ্জু  আরও বলেন, আমাদের জন্য এটা দুঃখজনক পরিস্থিতি যে বিএনপি-জামায়াতের মাঝে কাঁদা ছোড়াছুড়ি। বিএনপি-জামায়াত সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দল। এই দুইটা বড় দল একটা লম্বা সময় জোট করেছে। কেন জোট  করলো? তাদের উভয়ের আদর্শ তো এক নয়।  

দুইটার আদর্শ দুই রকম। কিন্তু বিএনপি এজন্য  জামায়াতের সঙ্গে ভোট করেছে যে জামায়াতের ভোট ছাড়া আওয়ামী লীগকে হারানো যাবে না। মাঝখানে ৯৬ সালে বিএনপি-জামায়াত আলাদা নির্বাচন করেন। তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।  

তখন আবার বিএনপি-জামায়াত একতাবদ্ধ হলো। এর আগে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে বিরাট দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও রক্তারক্তির ঘটনা ঘটেছে। তারা দুই দলই দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য একতাবদ্ধ ছিলো। ২০০৮ সালে আওয়ামী ১/১১ এর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসলে। তখন ১৫-১৬ বছর ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে উনাদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। একইভাবে আমাদের উভয়ের ওপর নির্যাতন হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, এক বছর যেতে না যেতেই উনারা উভয় দল একে অপরের সঙ্গে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করছেন। সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্যরাও জড়িয়ে যাচ্ছেন। একটা অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করার জন্য জোট হয়েছে। অতীতে যখন ঐক্য করেছে তখনও বিএনপি এমন দল ছিল।  

এসময় এবি পার্টির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম বাদল, জেলা সদস্য সচিব মুহাম্মদ ফজলুল হক, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আফলাতুন বাকি, যুগ্ম সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম কামরুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সাজু, ফেনী পৌর আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ সেলিম প্রমুখ।  

মঞ্জু আরও বলেন, ফেনীতে ক্ষতচিহ্ন দেখে মনে হয়েছে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। গত বছর প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিন্তু সেই পরিমাণ কাজ হয়নি। ভাঙা স্থান দেখে মনে হয়েছে এগুলো বড় কাজ নয়। এখানে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬০-৭০ ভাগ টাকা দুর্বৃত্তদের পকেটে চলে গেছে। টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য নতুন করে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার যে বরাদ্দ হয়েছে সে কাজ যেন সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হয় এ দাবিও করেন তিনি।

এসএইচডি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।