আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত।
একই সঙ্গে তার স্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ, অস্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং আয়কর সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জব্দের আদেশও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক তিনটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
দুদকের তথ্যমতে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা হচ্ছেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন।
তদন্তে উঠে আসে, স্বপন ভট্টাচার্যের নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দুই কোটি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার ১৫১ টাকা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে তার নামে থাকা ১৯টি হিসাব থেকে অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
এসব অ্যাকাউন্টে মোট জমা রয়েছে ৪১ কোটি ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৪ টাকা এবং ইতোমধ্যে উত্তোলন করা হয়েছে ৪০ কোটি ৩১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৪ টাকা।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, দুদক এখন স্বপন ভট্টাচার্যের যশোর শহরের লালদিঘির পাড় এলাকায় অবস্থিত বাড়ি এবং ঢাকার একটি ফ্ল্যাট অবরুদ্ধ করতে যাচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাংক হিসাবগুলোও ক্রোকের আওতায় আনা হবে।
এর আগে ২০২৫ সালের ১৭ মার্চ স্বপন ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে দুদকের অপর একটি মামলায় দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন একই আদালত।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উচ্চ পর্যায়ের অনুসন্ধান চলছে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ শেষে মামলার পরবর্তী ধাপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরএ