খুলনা মহানগরীর আফিল গেটে ট্রেন-ট্রাক দুর্ঘটনার কারণে আড়াই ঘণ্টা বন্ধ ছিল খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ। পরে ট্রেনের বগি এবং ট্রাক উদ্ধারের পর ছেড়ে গেছে খুলনা-ঢাকা সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি।
ট্রেনটি রাত পৌনে ১০টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ছাড়ে রাত ১২টা ৫০ মিনিটে। তবে সড়কের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয় দুর্ঘটনার দু’ঘণ্টা পর রাত ১০টা থেকে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের খুলনার স্টেশন মাস্টার মো. জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার (১৪ জুলাই) রাত সোয়া ৮টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে খুলনাগামী মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আফিল গেটে পৌঁছালে রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি ট্রাক রেল লাইনের ওপর উঠেই হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এসময় ট্রেনটি ট্রাকটিকে ধাক্কা দিয়ে কিছুদূর নিয়ে যায় এবং ট্রেনের তিনটি বগি ছিটকে পড়ে। এতে ট্রেনের অন্তত ৩০জন যাত্রী আহত হন। তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মো. শহিদুল ইসলাম খান (৬৫) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক বিজিবি সদস্য মারা যান। নিহতের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার খাজুড়া পূর্বপাড়া এলাকায়।
আহতদের মধ্যে খুমেক হাসপাতালে আটজনকে এবং বাকিদের খুলনার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে খুমেক হাসপাতালে ভর্তিরা হলেন- যশোরের অভয়নগর থানার নওয়াপাড়ার সুমনের ছেলে সাদমান (৬), যশোর সদর থানাধীন সেখহাটির হাফিজুরের ছেলে মারুফ (১৭), খুলনার বটিয়াঘাটা থানার হাটবাটির মোশারফের ছেলে মিন্টু (৪৫), খুলনার আড়ংঘাটা থানার গাইকুড়ের শেখ সাইদুল আজম (৫০), খুলনার খালিশপুরের বাস্তুহারা এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে সোহেল (৩৪), খুলনার রূপসা থানার কাজদিয়ার আশিষের মেয়ে লাবণ্য (১৫), খুলনার দৌলতপুরের রনজিত পালের ছেলে বিপ্লব (২৬) এবং যশোরের বসুন্দিয়ার ইয়াকুব মোল্লার ছেলে মাহমুদ হোসেন(৪০)।
** খুলনায় মহানন্দা এক্সপ্রেসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ১
এমআরএম/আরএ