ঢাকা, শুক্রবার, ২ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২২ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

গোপালগঞ্জে নিহতদের ছবিতে নিজের মুখ, ক্ষুব্ধ জুলাইযোদ্ধা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:২৩, জুলাই ১৭, ২০২৫
গোপালগঞ্জে নিহতদের ছবিতে নিজের মুখ, ক্ষুব্ধ জুলাইযোদ্ধা ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ফ্যাসিস্ট তাড়ানোর যুদ্ধে আহত জুলকার নাইন হৃদয়

সিরাজগঞ্জ: গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশস্থল ও গাড়িবহরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলা ও সহিংসতায় নিহত চারজনের ছবির মধ্যে সিরাজগঞ্জের এক জুলাইযোদ্ধার ছবিও ছড়িয়েছে। পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের অ্যাক্টিভিস্টদের ফেসবুক আইডি-পেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছবিটি প্রচার হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার বাসিন্দা জুলকার নাইন হৃদয় নামে ওই জুলাইযোদ্ধা।

বুধবার (১৬ জুলাই) থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে গোপালগঞ্জে নিহত চারজনের ছবি ছড়ায়। সেখানে নিহত রমজান কাজীর স্থানে হৃদয়ের ছবি দেওয়া হয়। তবে ছবির নিচে রমজান কাজীর নামই উল্লেখ করা হয়। রমজান কাজী গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার বাসিন্দা। আর জুলকার নাইন হৃদয় উপজেলার ধোপাকান্দি আলী আক্তার সরকার ছেলে। এছাড়া হৃদয়ের আহত হওয়ার একটি মুহূর্তও ছড়ানো হয়েছে গোপালগঞ্জে আহত ছাত্রলীগকর্মীর ভিডিও বলে।

জুলকার নাইন দাবি করেন,  তার ব্যবহৃত ছবি ও ভিডিও ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট কামারখন্দে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন অংশগ্রহণের একটি ভিডিও থেকে নেওয়া।  

তিনি বলেন, আমি একজন জুলাইযোদ্ধা। ৪ আগস্ট আন্দোলনে জামতৈল পূর্ব বাজারে স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে আমি আহত হলে আমার সঙ্গে থাকা মহসিন ভাই, রানা ভাই ও হাসান ভাই আমাকে নিয়ে স্থানীয় খোকন মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। ওই সময়ের একটি ভিডিও কিছুদিন আগে আমার এক বড় ভাই ফেসবুকে আপলোড করেন। পরবর্তীতে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিও থেকেই আমার ছবিটা নিয়ে অনলাইনে মৃত রমজান কাজী নামে প্রকাশ হয়েছে। ওই নিউজটা আমি দেখেছি আওয়ামী লীগের একটি পেজ থেকে শেয়ার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মিডিয়ায় ছবিটা দেখে আমার খুব খারাপ লেগেছে। আমি তো আসলে জুলাইযোদ্ধা, গতকালকে গোপালগঞ্জের ওই ঘটনা আমি জানিই না, আর সেখানে থাকার তো কোনো প্রশ্নই  আসে না।

হৃদয় আরও বলেন, আমার বাবা একজন সাধারণ ব্যবসায়ী, আর আমি ছাত্র। আমাদের পরিবার কোনো রাজনীতির মধ্যে নেই। জুলাই আন্দোলনে আমি দেশের হয়ে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি। অথচ তারা আওয়ামী লীগ হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে অবশ্যই আমি আইনের পদক্ষেপ নেব।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিরাজগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম সাকিব বলেন, গতকালের হৃদয়ের বিষয়ে যেটা ঘটেছে, গোপালগঞ্জে যে চারজন নিহত হয়েছে এ নিউজের প্রেক্ষিতে আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, কেননা ও একজন জুলাইযোদ্ধা। ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ফ্যাসিস্ট তাড়ানোর যুদ্ধে সে আহত হয়েছে। সেই সময়কার একটা ভিডিও নিয়ে গোপালগঞ্জের যে ঘটনা ঘটেছে সেখানে চালিয়ে দিয়েছে। সে বিষয়ে আমি তীব্র নিন্দা জানিয়ে জানাচ্ছি।

জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।