বরিশাল: জোয়ারের সময় বরিশালের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সে সঙ্গে পানির স্রোতের গতিবেগ প্রবল থাকায় ভাঙনের শঙ্কা বেড়েছে নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে।
যদিও এরইমধ্যে বরিশাল সদর উপজেলার লামচরি, মেহেন্দিগঞ্জ সদর শ্রীপুর, চরগোপালপুরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নদীর ভাঙনে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বরিশালেল কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর সর্বোচ্চ ১৭ সেন্টিমিটার, হিজলার ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠীর বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগীর বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনে মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার, ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এ ছাড়া বরিশালের বরগুনায় বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার, বরগুনার আমতলীর বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ও উমেদপুরে কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এমএস/জেএইচ