টাঙ্গাইলে মাছ ব্যাবসায়ীকে কিলার গ্যাংয়ের প্যাডে (হত্যাকারী দল) একটি চিঠি দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় বিএনপির তিন নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২ জুলাই) ভোর ও শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার সন্তোষ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শহর বিএনপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম রাব্বানী, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মিয়া, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাব্বির মিয়া।
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইজাজুল হক সবুজ জানান, বিএনপির নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার পৌর এলাকায় সন্তোষে মাছ ব্যবসায়ী মো. আজাহারুল ইসলামের কর্মচারীর হাতে অচেনা একজন একটি চিঠি দিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে কর্মচারী সেই চিঠি ব্যবসায়ী মো. আজাহারুল ইসলামকে দেন। চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে- চিঠি পাওয়ার পর তুই যদি বিষয়টি নিয়ে কারো সঙ্গে শেয়ার করস বা আইনি প্রক্রিয়ায় যাস তাহলে কবর দেওয়ার জন্য তোর লাশ পরিবার খুঁজে না পায় সে ব্যবস্থা আমরা করব। চিঠিতে উল্লেখ আছে- মনে রাখবি প্রশাসন তোর সঙ্গে সব সময় থাকবে না। আর বাঁচতে পারবি না। তোর সঠিক বুদ্ধিমত্তার সিদ্ধান্ত তুইসহ তোর পরিবার সুরক্ষিত থাকবে।
চিঠিতে আরও লেখা আছে যে- দীর্ঘদিন ধরে মাছ ব্যবসা করে যাচ্ছিস। এতে তোর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। দাবিকৃত পাঁচ লাখ টাকা তোর কাছে কিছু না। তাই আগামী আগস্টের ৩ তারিখ রোববার সন্ধ্যা ৭টার সময় একটি শপিং ব্যাগে করে কাগমারী মাহমুদুল হাসানের বাসার সামনে একটি গাছে ফরহাদের ছবি লাগানো আছে সেই গাছের নিচে রেখে যাবি।
আরএ