গাজীপুরে সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়।
গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর আল মামুন আসামিদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন খান জানান, গ্রেপ্তার সাত আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। এ সময় আদালতের বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে আদালত থেকেই আসামিদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, জামালপুরের মেলান্দহ থানার মাহমুদপুর এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে মিজান ওরফে কেটু মিজান (৩৪), তার স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি (২৮), খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ময়লাপোতা এলাকার মো. হানিফের ছেলে আল-আমিন (২১), পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে স্বাধীন (২৫), কুমিল্লার হোমনা থানার অনন্তপুর এলাকার হানিফ ভূইয়ার ছেলে শাহজালাল (৩২), পাবনার চাটমোহর থানার পাঁচবাড়িয়া এলাকারর কিয়ামুদ্দিন হাসানের ছেলে মো. ফয়সাল হাসান (২৩), শেরপুরে নকলা থানার চিতলিয়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে সুমন ওরফে সাব্বির (২৬)।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে। এ ঘটনার পর নিয়তের বড় ভাই সেলিম বাদী হয়ে কি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া এলাকার হাসান জামালের ছেলে। গাজীপুরের বাসা ভাড়া থেকে তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকায় গাজীপুরে কর্মরত ছিলেন।
আরএস/এএটি