কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকা থেকে উর্মি খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই নারীকে মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী রানার (৩৭) বিরুদ্ধে।
শনিবার (০৯ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে হাউজিং এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে উর্মি খাতুনের মরদেহ উদ্ধা করা হয়।
তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মহিম মন্ডলের মেয়ে। পাঁচ বছর আগে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রানা খানের সাথে বিয়ে হয় উর্মির।
তারা স্বামী-স্ত্রী সিটি কলেজের সামনে কাপড় ও খাবারের দোকান দিয়ে ব্যবসা করতেন। হাউজিং এফ-ব্লকে ভাড়া বাসায় দুই সন্তানসহ থাকতেন তারা।
নিহতের ভাই আবু সাইদ অভিযোগ করেন, উর্মি পাঁচ বছর আগে রানাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। রানা মাদকাসক্ত। এজন্য বেশ কয়েকবার জেলে গেছেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ ছিল।
পারিবারিক কলহের জেরে মারপিট ও শ্বাসরোধে উর্মিকে হত্যা করা হয়েছে বলে ভাইয়ের দাবি। এ ঘটনার পর থেকে রানা পলাতক। উর্মির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে পারিবারিক কলহের জেরে উর্মিকে মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত রানাকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
এসএইচ