ঢাকা, রবিবার, ৮ ভাদ্র ১৪৩২, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

গোপালগঞ্জে দুই দি‌নে আ. লীগ থেকে ১৪ নেতার পদত্যাগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:২৭, আগস্ট ২৩, ২০২৫
গোপালগঞ্জে দুই দি‌নে আ. লীগ থেকে ১৪ নেতার পদত্যাগ আওয়ামী লীগ থেকে ১৪ নেতার পদত্যাগ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দে‌খি‌য়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে একসঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছেড়েছেন ছয় নেতা। এ নিয়ে গত দুই দিনে ১৪ নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করলেন।

গতকাল শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ৮টার দি‌কে মুকসুদপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) পদত্যাগ করেন আরও আট নেতা।

পদত্যাগকারী ওই ছয় নেতা হলেন-পৌর আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর মো. নিয়ামত খান, ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জামাল হোসেন মুন্সী, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি পরিমল সাহা ও সাধারণ সম্পাদক শান্ত সাহা, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগ নেতা জয়ন্ত সাহা।

লিখিত বক্তব্যে সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো. নিয়ামত খান বলেন, ২২ আগস্ট থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের আর কোনো সম্পর্ক নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না। তবে আমরা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় সবসময় অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবো। রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ভবিষ্যতেও দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাবো।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ৮ নেতা সংবাদ সম্মেলন করে দল থেকে পদত্যাগ করেন।

ননীক্ষীর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া ৮ নেতা হলেন- ননীক্ষির ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনোজ মৌলিক, কাজী মিজানুর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক রাসেল শেখ, সদস্য স্বপন শেখ, একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুর আলম মিয়া, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুবল রায়, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আক্কাস চোকদার, ননীক্ষির ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জলিল কাজী।

সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগকারী আটজনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মনোজ মৌলিক।  

তিনি বলেন, আমরা ননীক্ষির ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ শাখার সব পদ থেকে স্বেচ্ছায় ও স্বজ্ঞানে পদত্যাগ করছি। আমরা আমাদের পদত্যাগপত্র দ্রুত মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে পাঠিয়ে দেব।

এ ব্যাপারে প্রবা‌সে আত্ম‌গোপ‌নে থাকা মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হায়দার হোসেন বলেন, ‘পদত্যাগের নিয়ম হলো ওয়ার্ড কমিটির নেতা ইউনিয়ন কমিটির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। ইউনিয়ন কমিটির নেতা উপজেলা কমিটির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। এখানে শুধু সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে পদত্যাগ হয় না। যারা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তারা আওয়ামী লীগের সময় সারের ডিলারসহ বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। তারা দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন না। তাদের মতো সুবিধাভোগী আরও দুইশ’ নেতা পদত্যাগ করলেও আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষতি হবে না।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।