নারায়ণগঞ্জ: ‎নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ২০২৫-২৬ সালের বার্ষিক নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নীল প্যানেল নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে।

১৭টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তারা ১৬টি পদে জয়ী হয়েছে।

সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবীর ৬০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত সমর্থিত বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের অ্যাডভোকেট এ হাফিজ মোল্লা পেয়েছেন ৩০৬ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট এইচ এম আনোয়ার প্রধান ৭১৮ ভোটে জয়লাভ করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট শেখ মো. গোলাম মোর্শেদ গালিব পেয়েছেন ১৮৬ ভোট।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাত ১২টায় নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করে।  

এর আগে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বারী ভুঁইয়া।

মোট এক হাজার ১৭৩ জন ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৫৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। অনুপস্থিত ছিলেন ১২০ জন।

অন্যান্য পদে বিজয়ীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী আব্দুল গাফ্ফার (৬৯৭ ভোট), সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাদ্দাম হোসেন (৫৫৫ ভোট), যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন (৬৭৫ ভোট), কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট শাহাজাদা দেওয়ান (৭৫৫ ভোট), আপ্যায়ন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাইন উদ্দিন রেজা (৭৯৭ ভোট), লাইব্রেরি সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান (৫৯০ ভোট), ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম (৬৪৫ ভোট), সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সারোয়ার জাহান (৫৭২ ভোট), সমাজসেবা সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাজিব মন্ডল (৬০০ ভোট), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুন মাহমুদ মিয়া (৫৮৫ ভোট)

সদস্য পদে যথাক্রমে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট দেওয়ান আশরাফুল ইসলাম (৭৩৪ ভোট), অ্যাডভোকেট ফাতেমা আক্তার সুইটি (৬৯৭ ভোট), অ্যাডভোকেট আবু রায়হান (৬৯৪ ভোট), অ্যাডভোকেট তেহসিন হাসান দিপু (৫৭৪ ভোট) এবং (জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত) অ্যাডভোকেট আফরোজা জাহান (৫২৩ ভোট)।

নির্বাচনের দিন সকাল থেকে আদালত পাড়া ছিল উৎসবমুখর। তিনটি প্যানেলের পক্ষে বিএনপি, জামায়াত এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের শীর্ষ নেতারা নিজ নিজ প্রার্থীদের উজ্জীবিত করতে উপস্থিত ছিলেন। নেতাকর্মীদের পদচারণা, শ্লোগান আর ব্যানারে মুখর ছিল আদালত প্রাঙ্গণ।

এই নির্বাচনে ১৭টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ৪৯ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পূর্ণ প্যানেল, জামায়াত সমর্থিত বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের পূর্ণ প্যানেল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আংশিক প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী অংশ নেন।

এমআরপি/