মাদারীপুর: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মাদারীপুর জেলার সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আব্দুর রহিমের নারী ঘটিত একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
৪৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে তাকে রেস্টুরেন্টের একটি কক্ষে এক তরুণীর সঙ্গে অঙ্গরঙ্গ সময় কাটাতে দেখা গেছে।
ঘটনাটি এক সপ্তাহ আগের হলেও সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে তা ভাইরাল হয়। এরপর পরই জেলাজুড়ে শুরু হয় সমলোচনা।
এদিকে ভিডিওটি ফাঁস হওয়ার পর নিজের ফেসবুকে কাবিননামার ছবি আপলোড করে ওই নারীকে নিজের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন আব্দুর রহিম।
সেখানে তিনি জানান, বিয়ের পর চার বছর ধরে সংসার করেছেন ওই মেয়ের সঙ্গে। তাকে নিয়ে একটু নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটান তিনি। ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে সেই ভিডিও কেউ ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
এরপর বিষয়টি অনুসন্ধানে নামে গণমাধ্যমকর্মীরা। তবে, ভিডিও ধারণ করা ক্লিপের সঙ্গে আব্দুর রহিমের স্ত্রীর কোনো মিল নেই। মেয়েটি অন্য কেউ। তার প্রমাণও মিলেছে। বিষয়টি একাধিক মাধ্যম থেকে নিশ্চিতও হওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আব্দুর রহিমের স্ত্রীর নাম সুরাইয়া আক্তার। আব্দুর রহিমের স্ত্রী হিসেবে সুরাইয়া এখনো রয়েছেন। রেস্টুরেন্টে থাকা মেয়েটির খোঁজ পেয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তার নাম সুরাইয়া নয়।
এ ব্যাপারটি প্রথমে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে গণমাধ্যমকর্মী নিউজ না করার অনুরোধ করেন আব্দুর রহিম।
জাতীয় নাগরিক পার্টির মাদারীপুর জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহ বলেন, আব্দুর রহিমের ঘটনাটি তার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। মেয়েটি তার স্ত্রী কিনা সেই ব্যাপারে সংগঠন খোঁজ খবর নিচ্ছে। দোষ পেলে সাংগঠনিকভাবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির মাদারীপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, আব্দুর রহিমের ব্যাপারে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। তার ব্যক্তিগত কোনো দোষ বা দায়ভার দল নেবে না। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এসআই