ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

৩ মৌসুমে বরিশালে অনাবাদি থাকে সাড়ে ৬ লাখ হেক্টর জমি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২০, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫
৩ মৌসুমে বরিশালে অনাবাদি থাকে সাড়ে ৬ লাখ হেক্টর জমি ফসলের ক্ষেত।

প্রাকৃতিক, প্রকৃত কৃষকদের জমি না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে বরিশাল বিভাগে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকে। এর কারণে ফসল উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না।

বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগে অনাবাদি পতিত জমির পরিমাণ ছয় লাখ ৫৪ হাজার ২৫৬ হেক্টর। এর মধ্যে খরিপ-২ মৌসুমে অনাবাদি থাকে ৫২ হাজার ১৭৯ হেক্টর, খরিপ-১ মৌসুমে পাঁচ লাখ ৫১ হাজার ৮৯১ হেক্টর ও রবি মৌসুমে থাকে ৫০ হাজার ১৮৬ হেক্টর।  

বিভাগের মধ্যে বরিশাল জেলায় অনাবাদি পতিত জমির পরিমাণ এক লাখ ২৮ হাজার ৭৩৩ হেক্টর। এর মধ্যে খরিপ-১ মৌসুমে ৯৭ হাজার ১৪৬ হেক্টর, খরিপ-২ মৌসুমে ২৮ হাজার ৮৩৭ হেক্টর ও রবি মৌসুমে দুই হাজার ৭৫০ হেক্টর।  

ঝালকাঠি জেলায় অনাবাদি জমি ৫১ হাজার ৬৪৯ হেক্টর। এর মধ্যে খরিপ-১ মৌসুমে ৩৪ হাজার ৯৪১ হেক্টর, খরিপ-২ মৌসুমে দুই হাজার ৩৯৮ হেক্টর ও রবি মৌসুমে ১৪ হাজার ৩১০ হেক্টর।  

পিরোজপুরে পতিত জমির পরিমাণ ৮৪ হাজার ৮৫৫ হেক্টর। খরিপ-১ মৌসুমে অনাবাদি থাকে ৬১ হাজার ৬৭৬ হেক্টর, খরিপ-২ মৌসুমে ১০ হাজার ৫৮৩ হেক্টর এবং রবি মৌসুমে ১২ হাজার ৫৯৬ হেক্টর।  

পটুয়াখালীতে পতিত জমি রয়েছ ১ লাখ ৮৬ হাজার ১৮৪ হেক্টর। এর মধ্যে খরিপ-১ মৌসুমে থাকে এক লাখ ৭৫ হাজার ৭৫০ হেক্টর, খরিপ-২ মৌসুমে ৬৩১ হেক্টর ও রবি মৌসুমে ৯ হাজার ৮০৩ হেক্টর।  

বরগুনা জেলায় অনাবাদি থাকে ৮০ হাজার ৯৫৫ হেক্টর জমি। এর মধ্যে খরিপ-১ মৌসুমে ৬৪ হাজার ৯৯৮ হেক্টর, খরিপ-২ মৌসুমে পাঁচ হাজার ২৩০ হেক্টর ও রবি মৌসুমে ১০ হাজার ৭২৭ হেক্টর।  

ভোলা জেলায় অনাবাদি থাকে এক লাখ ২১ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে রবি মৌসুমে অনাবাদি জমি থাকে না। তবে খরিপ-১ মৌসুমে অনাবাদি থাকে এক লাখ ১৭ হাজার ৩৮০ হেক্টর ও খরিপ-২ মৌসুমে থাকে সাড়ে চার হাজার হেক্টর।

এক কৃষি কর্মকর্তা বলেন, অনেক কৃষকের জমি নেই। তারা জমি বর্গা এনে চাষাবাদ করে। জমির মালিকের সাথে ফসলের ভাগ নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় অনেক জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। এ ছাড়া শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধিসহ ফসল আবাদের ব্যয় না ওঠায় কৃষকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। অনেক কৃষক পেশা বদল করেছে। এর কারণে জমি অনাবাদি থাকে।  

তবে কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক বলেন, আগে বরিশাল অঞ্চলে প্রচুর জমি অনাবাদি পড়ে থাকতো। কিন্তু কৃষি অফিসের নানা ব্যবস্থাপনা ও পরামর্শে এখন অনাবাদি জমির পরিমাণ কমছে। বর্তমানে যে জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। তার সিংহভাগ প্রাকৃতিক কারণে। এর মধ্যে রয়েছে নিচু জমিতে পানি থাকা, নদী ভাঙনের মুখে থাকা ও ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ জন্মানো। আস্তে আস্তে এ অবস্থার আরও উন্নতি হবে।  

এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।