ঢাকা, শনিবার, ২১ ভাদ্র ১৪৩২, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

আনন্দ-অমরিতার বিয়ে হলো হাসপাতালে 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০২, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫
আনন্দ-অমরিতার বিয়ে হলো হাসপাতালে  আনন্দ-অমরিতার বিয়ে সম্পন্ন হলো হাসপাতালে 

মানিকগঞ্জ: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আনন্দ সাহা, হাতে পায়ে ব্যান্ডেজ তবুও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাত পাক ঘুরে অমরিতার সিথিতে সিঁদুর দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন।

শুক্রবার ( ৫ সেপ্টেম্বর)  সকাল থেকেই সারাদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনন্দ-অমরিতার বিয়ের ছবি ঘুরপাক খেতে দেখা যায়।

বর আনন্দ সাহা মানিকগঞ্জ জেলা শহরের চাঁন মিয়া লেন এলাকার অরবিন্দ সাহার ছেলে এবং কনে ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরি এলাকার মেয়ে, তিনি জেলার খানবাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজের স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী।

জানা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরে আনন্দ সাহা ও অমরিতা পরিচয় এবং একটি সময় তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে দু’জনই পরিবার পরিজনের সঙ্গে কথা বলে, অতপর তাদের বিয়ের দিন তারিখও ঠিক হয়। হিন্দু ধর্মের বিধিমালা অনুসারে চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর তাদের বিয়ের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয় দুই পরিবার।

কিন্তু গত ৭ আগস্ট রাতে ঢাকা থেকে ফেরার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা গুরুতর আহত হন আনন্দ সাহা। ওই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই হাত, পা ভেঙে যায় এবং কোমড়ে গুরুতর আঘাত পান। দুর্ঘটনার পর আনন্দ সাহা ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। পরে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী আনন্দ সাহাকে মানিকগঞ্জে নিয়ে আসেন এবং এখান থেকে চিকিৎসা করার চেষ্টা করা হয়। এতটাই গুরুতর অসুস্থ বিধায় তিনি ( আনন্দ সাহা)  নিজে নিজে চলাফেরা করতে পারছিলেন না।

ভালোবাসার মানুষের পাশে থেকে সেবা করা সিদ্ধান্ত নেয় অমরিতা। আনন্দ ও অমরিতার পরিবারের যৌথ সিদ্ধান্তে বিয়ের দিন তারিখ ও লগ্নে’র কথা বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর)  রাতে জেলা শহরের আফরোজা বেগম জেনারেল হাসপাতালের হলরুমে দুই পরিবারের কয়জন নিকটতম আত্মীয় স্বজন নিয়ে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ভালোবাসায় ভাসছে আনন্দ ও অমরিতা।

বর আনন্দ সাহার চাচাতো ভাই অমি সাহা বলেন, ভাইয়ের বিয়ের কথা ছিলো ডিসেম্বর মাসে কিন্তু এরি মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন আনন্দ।  একা চলাফেরা করতে সমস্যা হয়, পরে অমরিতাসহ দুই পরিবারের যৌথ সিদ্ধান্তে সীমিত পরিসরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

আফরোজা বেগম জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অ্যান্ড ইউনিট প্রধান সিরাজুল ইসলাম বলেন, রোগীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সেবার কথা বিবেচনা করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হয়তো তার পরিবার। অল্পসংখ্যক লোকের উপস্থিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে এবং অন্য কোনো রোগীর স্বাস্থ্য সেবায় কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।

জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।