ঢাকা, রবিবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

বাসাইলে ১৪৪ ধারা জারি, থমথমে অবস্থা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪৬, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫
বাসাইলে  ১৪৪ ধারা জারি, থমথমে অবস্থা বাসাইলে ১৪৪ ধারা জারি

টাঙ্গাইলের বাসাইলে কাদেরিয়া বাহিনী ও ছাত্র সমাবেশের ব্যানারে একই স্থানে পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।  

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

 

যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ তৎপর রয়েছে।  

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. আকলিমা বেগম এ আদেশ জারি করেন।

রোববার বিকেল ৩টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে একই সময়ে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ এবং ছাত্র সমাজের ব্যানারে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।

জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর বাসাইল ইউএনও বরাবর যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।  

এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ও কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর (বীরউত্তম)।

অন্যদিকে, ছাত্র সমাজের ব্যানারে একই স্থানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ৫ সেপ্টেম্বর লিখিত আবেদন করেন রনি মিয়া নামে এক ব্যক্তি। তবে আবেদনে তার মোবাইলফোন নম্বর ও পুরো ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি। সমাবেশটি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারবিরোধী ছাত্র নেতাদের প্রতিনিধি আয়োজনে হবে বলে জানানো হয়। তবে সমাবেশে অতিথি হিসেবে কারা থাকবেন, আবেদনে তা উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে, দুপক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পৌর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করার চেষ্টা করবেন কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা। সেখানে সমাবেশ করতে না পারলে পৌর এলাকার আশপাশে সমাবেশ করবে মুক্তিযোদ্ধারা বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।  

অন্যদিকে, ছাত্র সমাজের নেতাদের পক্ষে আবেদনকারী রনি মিয়া জানান, যেকোনো মূল্যে ছাত্র সমাজের ডাকা সমাবেশও বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে।

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, একই জায়গায় দুটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা তৎপর রয়েছি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল চলছে।

বাসাইল ইউএনও মোছা. আকলিমা বেগম বলেন, একই তারিখ ও একই সময়ে দুই পক্ষ সমাবেশ করলে রক্তপাতসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও জনসাধারণের জানমাল রক্ষার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ আদেশ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।