খুলনা: খুলনার আলোচিত শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অভিযানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুদকের ৩ সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে অভিযানে যায়।
খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে খুলনা অফিস একটি তাৎক্ষনিক অভিযানে যায় শিপইয়ার্ড সড়কে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ উঠেছে- শিপইয়ার্ড সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ সময়মতো সম্পন্ন না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অর্থ আত্মসাৎ করেছে। পাশাপাশি যেটুকু কাজ করা হয়েছে তাতেও নিম্নমান বজায় রাখা হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে এনফোর্সমেন্ট দলের সদস্যরা কেডিএ কার্যালয়ে গিয়ে প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট নথিপত্র, ঠিকাদারদের বিল পরিশোধের রশিদ ও অন্যান্য কাগজপত্র সংগ্রহ করেন।
এসময় বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা উপস্থিত থেকে সড়কের নির্মাণকাজের মান, অগ্রগতি এবং কাজে ব্যবহৃত উপকরণের মান যাচাই করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা, নাগরিক নেতা ও নিরাপদ সড়ক চাইয়ের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, খুলনার অন্যতম ব্যস্ত সড়ক রূপসা ট্র্যাফিক মোড় থেকে খানজাহান আলী (র.) সেতু পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ ১২ বছরেও সংস্কার না হওয়ায় বড় বড় গর্ত, উঁচু-নিচু ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্সের গাফিলতি ও অনিয়মের কারণে সড়কের কাজ শেষ হয়নি। ফলে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লুটপাতের কারণে যে টুকু কাজ সম্পন্ন হয়েছে তা নিম্নমানের। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলন হয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এ সড়কে ধানের চারা রোপণ ও লাল কার্ড প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এমআরএম