ঢাকা, সোমবার, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

কেন্দুয়ায় মানব পাচারের চেষ্টা: চীনা নাগরিকসহ আটক ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১০, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫
কেন্দুয়ায় মানব পাচারের চেষ্টা: চীনা নাগরিকসহ আটক ২ আটক দুজন

নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানা পুলিশের সফল অভিযানে এক চীনা নাগরিকসহ দুইজনকে আটক এবং তিনজন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। সন্দেহভাজন এই চক্রটি নারী পাচারের উদ্দেশে আন্তর্জাতিক বিয়ের নাটক সাজিয়েছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ।

গত ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে কেন্দুয়া পৌরসভাস্থ কমলপুর গ্রামের গার্মেন্টস কর্মী আলফা আক্তারকে (১৮) বিয়ে করেন চীনা নাগরিক লি ওয়েই হাও (Li Wei Hao)। বিয়ের পর তিনি দাবি করেন, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর তারিখে আলফাকে চীন নিয়ে যাবেন। এসময় তার পরিবারের সদস্যদের ১ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

পরিবারের সম্মতি নিতে ও আলফাকে "স্বামী" হিসেবে দেখাতে, লি ওয়েই হাও ১৪ সেপ্টেম্বর আলফার বাড়িতে যান। তার সঙ্গে ছিলেন এক বাংলাদেশি নাগরিক ফরিদুল ইসলাম (সন্দেহভাজন দালাল) এবং আরও দুই তরুণী। তাদের মধ্যে একজন, জামালপুর জেলার বৃষ্টি (১৭), দাবি করেন যে তারও এক চীনা নাগরিকের সঙ্গে সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে।

তবে আলফা আক্তারের পরিবারের সদস্যরা চীনা নাগরিকের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে, তিনি তা দেখাতে ব্যর্থ হন। তার কথাবার্তা ও আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় থানায় খবর দেন।

খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লি ওয়েই হাও ও তার সহযোগী ফরিদুল ইসলামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের কথাবার্তা অসংলগ্ন ও সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

উদ্ধারকৃতরা হলেন- আলফা আক্তার (১৮),বাবা- রুবেল মিয়া, গ্রাম-কমলপুর, কেন্দুয়া পৌরসভা, নেত্রকোনা।

বৃষ্টি (১৭), বাবা মৃত বছির উদ্দিন, গ্রাম  গোপীনদী, থানা মেলান্দহ, জেলা  জামালপুর।

লিজা আক্তার (২০), বাবা মহর উদ্দিন, গ্রাম গগডা (নানার বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস), ইউনিয়ন– মোজাফরপুর, থানা কেন্দুয়া, জেলা নেত্রকোনা।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- লি ওয়েই হাও (Li Wei Hao) – চীনা নাগরিক ও মো. ফরিদুল ইসলাম, বাবা- আব্দুল হানিফ মিয়া, গ্রাম - সুখদেব পশ্চিম পাড়া, থানা- রাজারহাট, জেলা-কুড়িগ্রাম।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্র জড়িত থাকতে পারে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

কেন্দুয়া থানা পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে আরও অগ্রসর হচ্ছে এবং পেছনে থাকা মূল চক্রকে শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।  

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।