বাংলাদেশ সীমান্তে মাদক পাচারে সরাসরি জড়িত মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মি। তারা রোহিঙ্গা এবং এদেশীয় সিন্ডিকেটগুলোকেও মাদক পাচারে সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য তুলে ধরেন রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ।
কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, বেশিরভাগ মাদক আসছে নাফনদী ও সমুদ্র উপকূলের দুটি পথ দিয়ে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যাচ্ছে, আর মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবা, আইসসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ও অবৈধ অস্ত্র।
বিজিবি জানায়, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে মাদক প্রতিরোধ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গেল এক মাসে বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের অভিযানে ৮৮ কোটি টাকার অধিক মাদক জব্দ হয়েছে। এসময় আটক করা হয়েছে ১৮৮ জনকে। এ ছাড়া প্রায় ২২ লাখ টাকার দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ এবং ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে কর্নেল মহিউদ্দিন বলেন, এ পর্যন্ত ২২৮ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি, যাদের মধ্যে বিজিবির প্রচেষ্টায় ১০৪ জনকে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সীমান্তের ওপারে জান্তা সরকারের পর থেকে আরাকান আর্মি বিভিন্ন স্থানে স্থল মাইন পুঁতে রেখেছে। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৩টি মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
তবে আরাকান আর্মি বৈধ কর্তৃপক্ষ না হওয়ায় তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা সম্ভব নয়। নন-অফিসিয়াল যোগাযোগের মাধ্যমেই জেলেদের ফেরত আনা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কর্নেল মহিউদ্দিন বলেন, মাদক নির্মূলে বিজিবির অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে মাদকের স্থায়ী নির্মূলে সামাজিক প্রতিরোধের বিকল্প নেই।
এএটি