ঢাকা, রবিবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

আসন পুনর্বহালের দাবিতে পাবনায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫৪, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫
আসন পুনর্বহালের দাবিতে পাবনায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে বেড়া এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

পাবনা-১ (বেড়া-সাঁথিয়া) আসন থেকে বেড়া উপজেলাকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বেড়ার এলাকাবাসী।  

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেড়া উপজেলার কয়েকশ মানুষ ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।

এ সময় সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে স্লোগান দেন তারা। পরে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।

আন্দোলনকারীরা জানান, সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে পাবনা-১ আসন ছিল। সম্প্রতি আসনটি ভেঙে ৩ লাখ ২৩ হাজার ভোটারের সাঁথিয়া উপজেলাকে আলাদা করে পাবনা-১ এবং বেড়া উপজেলাকে পার্শ্ববর্তী পাবনা-২ আসনের সুজানগর উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি। এ সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার শান্তিপূর্ণ দাবিতে সাড়া না মেলায় আন্দোলনে নেমেছেন বেড়ার মানুষ। নতুন সংসদীয় সীমানার প্রজ্ঞাপন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির, বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি সালাউদ্দিন ইকবাল, বেড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আকসেদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুদ্দিন খাজা, যুগ্ম সম্পাদক মইনুল হক, বেড়া পৌর বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লা, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নয়ন আলী প্রমুখ।

বিক্ষোভকারীরা দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। পরে একটি প্রতিনিধি দল জেলা নির্বাচন অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন।

বেড়া-সাঁথিয়া আসন পুনর্বহাল আন্দোলনের সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির বলেন, একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে বেড়া থেকে সাঁথিয়াকে আলাদা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এলাকার ভৌগোলিক বিষয়ে না দেখে না বুঝে একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বেড়া-সাঁথিয়া ভাই ভাই। স্বাধীনতার পর থেকে সব নির্বাচন একসাথে হয়ে আসছে। সামাজিকতা, ব্যবসা, রাজনীতি সব কিছু আমাদের এক তবে আসন কেন বিন্যাস হবে, আলাদা হবে। আমরা এই অন্যায় আসন বিন্যাস মানি না। যতক্ষণ পর্যন্ত আগের মতো আসন ঠিক না হবে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।  

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।