ঢাকা, সোমবার, ৭ আশ্বিন ১৪৩২, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

মরদেহ আটকে সুদের টাকা আদায়!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:২১, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫
মরদেহ আটকে সুদের টাকা আদায়!

চুয়াডাঙ্গা: সুদের টাকার দাবিতে মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায়। পরে টাকা বুঝে পেলে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।

 

উপজেলার চিৎলা গ্রামে এমন অমানবিক ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) চিৎলার নতুনপাড়ার বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি হারুন (৪৫) মেয়ের বাড়িতে স্ট্রোকজনিত কারণে মারা যান। পরদিন (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহ গ্রামে পৌঁছালে শোকে ভেঙে পড়েন স্বজনরা। আসরের নামাজের পর তার জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি চলছিল।

সেসময় মর্জিনা খাতুন নামে একজন প্রতিবেশি দাবি করেন তিনি হারুনের কাছে ১৫ হাজার টাকা পাবেন। বিষয়টি উপস্থিত সকলকে হতবাক করে তোলে।

মর্জিনা খাতুন সরাসরি শর্ত জুড়ে দেন টাকা পরিশোধ না করলে মরদেহ দাফন করতে দেওয়া হবে না। হঠাৎ এমন দাবিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে হারুনের পরিবার। শোকার্ত পরিবেশ মুহূর্তেই পরিণত হয় তর্ক-বিতর্কে।

প্রায় ২ ঘণ্টা মরদহে দাফন না করে বাকবিতণ্ডার এক পযায়ে সন্ধ্যায় পরিবার বাধ্য হয়ে টাকা পরিশোধ করে। টাকা হাতে পেয়ে মর্জিনা ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়লেও গ্রামবাসীর ক্ষোভ থামেনি। ইতিমধ্যে ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকসহ অনলাইনে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান বলেন, হারুন জীবিত থাকতেই আসল টাকা শোধ করেছিলেন বলে জেনেছি। মৃত্যুর পর মরদেহ আটকে রেখে সুদের টাকা আদায় ঘৃণ্য ও লজ্জাজনক কাজ।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবীর জানান, এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযুক্ত মর্জিনা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এসএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।