নড়াইল: নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় পুকুর থেকে দুই ভাইবোনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পিতার দাবি তারা গোসলে নেমে ডুবে মারা গেছে।
মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর উপজেলার শিবানন্দপুর গ্রামের দাউদ মীরের বাড়ির পেছনের পুকুর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
তারা শিবানন্দপুর গ্রামের কৃষক আজিবার শেখের সন্তান। তাসলিমা বড়দিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি ও কাওসার শিবানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে তাসলিমা ও তার ভাই কাওসারকে প্রতিবেশী নাহার বেগম পার্শ্ববর্তী দাউদ মীরের বাড়ির পেছনের পুকুরের দিকে যেতে দেখেন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও তাদের খোঁজ না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেন।
পরে স্থানীয়রা পুকর পাড়ে তাসলিমার ওড়না দেখে পুকুরেই খোঁজ করেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই পুকুর থেকে দুই ভাইবোনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তবে, দুই ভাইবোনের দুর্ঘটনায় মৃত্যু নাপ, পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে অভিযোগ করেন তাদের মা বেবি বেগম।
বেবি বেগম অভিযোগ করেন, ‘আমার মেয়ে সাঁতার কাটতে জানে, তারা পুকুরে ডুবে মরতে পারেনা। আমার স্বামী ও তার ভাইয়েরা মারধর করে আমাকে ৮ থেকে ৯ মাস আগে এই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। পরে আমার স্বামী আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে এনেছে। পরিকল্পিতভাবে আমার সন্তানদের হত্যা করে পুকুরে ফেলে এখন দাবি করেছে ডুবে মারা গেছে’।
তবে নিহতদের বাবা আজিবার শেখ দাবি করেন, তার ছেলে মেয়ে কেউ সাঁতার জানতো না, পুকুরে গোসল করতে নেমে ডুবে মারা গিয়েছে।
নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
এসএইচ