নওগাঁর মান্দায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ছয়জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মান্দা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মোবাইলফোনের মাধ্যমে কিছুদিন আগে মান্দা উপজেলার ভারশোঁ গ্রামের শাকিল হোসেন নামে এক যুবকের সঙ্গে ওই গৃহবধূর পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। এরই সূত্র ধরে গত ২২ সেপ্টেম্বর শাকিল হোসেনের সঙ্গে দেলুয়াবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা করেন ওই গৃহবধূ। সন্ধ্যার পর শাকিল তাকে মান্দা ফেরিঘাট বাজারে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ভারশোঁ গ্রামের তপন কুমারের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে রাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েকজন মিলে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, অভিযুক্তদের পাশবিক নির্যাতনে এক সময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে ২৩ সেপ্টেম্বর জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমি নওগাঁ সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ ও অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করার পর মান্দা থানায় প্রধান অভিযুক্ত শাকিল হোসেনসহ ছয়জনের নামে মামলা করেছি।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু রায়হান বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় এক গৃহবধূ মামলা করেছেন। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ভুক্তভোগীকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে তিনি পরীক্ষা না করেই হাসপাতাল থেকে চলে গেছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
এসআরএস