ঢাকা, সোমবার, ৪ কার্তিক ১৪৩২, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

সারজিস আলমের সভায় ককটেল হামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:০৬, অক্টোবর ২০, ২০২৫
সারজিস আলমের সভায় ককটেল হামলা

বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের উপস্থিতিতে সমন্বয় সভা চলাকালে সভাস্থলের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বগুড়া জিলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

 

জিলা পরিষদের পেছন সংলগ্ন ভবন থেকে নিক্ষেপ করা দুটি ককটেলের মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও এনসিপির সভায় কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হয়নি। ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন দল ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে। পুলিশ অবিস্ফোরিত একটি ককটেল উদ্ধার করে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য পানি ভর্তি বালতির ভেতরে রাখে।

এনসিপির জেলা সমন্বয় সভার আগে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ সংলগ্ন এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করেন সারজিস আলম। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, মানুষ এখনও জুলাই অভ্যুত্থানের কথা শুনলে শিউরে ওঠে। এই দেশের মানুষের সামনে নতুন করে কেউ স্বেচ্ছাচারিতা করতে পারবে না। যদি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, বিচারিক প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হয় এবং নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করে, তাহলে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, বিগত সময়ে বিএনপি যখনই সরকার গঠন করেছে, তা জোট সরকারের মাধ্যমেই করেছে। জামায়াতও কখনও শক্তিশালীভাবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনি। আমরা মনে করি, আগামীতে আওয়ামী লীগ ও আধিপত্যবাদ প্রশ্নে বিএনপি বা জামায়াত কেউ এককভাবে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। এই জায়গায় এনসিপির রাজপথে ও সংসদে শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন। আগামী প্রজন্ম যদি সংসদে প্রতিনিধিত্ব না করে, তাহলে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন সম্ভব নয়। যারা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও খুনিদের বিচারের জন্য কাজ করবে, তাদের সঙ্গে এনসিপি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।

কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাকিব মাহাদীর সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক।

এদিকে এনসিপির সমন্বয় সভার বাইরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় স্থানীয় নেতারা দাবি করেছেন, পুলিশের কাছে বারবার নিরাপত্তা চাওয়া হলেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। যার কারণে সভাস্থল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

তবে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, জিলা পরিষদ চারদিকে নিরাপত্তা দেয়ালে ঘেরা। এর ভেতরে সভা চলছিল। পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ জিলা পরিষদের প্রধান গেটে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিল। জিলা পরিষদের পেছন সংলগ্ন ভবন থেকে কে বা কারা দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

সভা শেষে সারজিস আলম নিরাপদে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।