সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে রেস্টুরেন্টের মধ্যে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নির্যাতিতা কিশোরীর চিৎকার যেন বাইরে না যায়, সেজন্য জোরে গান বাজাচ্ছিল ধর্ষণকারী যুবকের বন্ধুরা।
গুরুতর আহত ওই কিশোরী শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে তার অস্ত্রপাচার সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নির্যাতিত কিশোরী উপজেলার কর্ণসূতি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি মাদরাসার ছাত্রী।
এর আগে রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরের দিকে কামারখন্দের জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ডেরা ফাস্টফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ বলেন, কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আমরা তদন্ত শুরু করেছি এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
কামারখন্দ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল আক্তার ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, রোববার সকালে বাড়ি থেকে মাদরাসায় যায় ওই কিশোরী। মাদরাসা থেকে কলম কেনার জন্য বাইরে বের হলে ৬/৭ জন যুবক তাকে জোরপূর্বক সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে জামতৈল স্টেশনের পাশে সেন্ট্রাল পার্কের পাশে ডেরা ফাস্টফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। সেখানে কিশোরীকে এক যুবক ধর্ষণ করে। বাকিরা জোরে জোরে গান বাজাতে থাকে, যাতে কিশোরীর চিৎকার বাইরে না যায়। একপর্যায়ে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষক ও তার বন্ধুরা তাকে সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি জানতে পারলে তারা পালিয়ে যায়। বর্তমানে ভিকটিম শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম নুরুজ্জামান বলেন, রোববার রাতে ওই কিশোরী হাসপাতালে ভর্তি হয়। বর্তমানে কিশোরী অনেকটা সুস্থ রয়েছে।
মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তা এসআই রতন কুমার সাহা বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ঘটনাস্থল ডেরা ফাস্টফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টকে ক্রামই সিন হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আরএ