নেয়ামত আলী পেশায় একজন কৃষক। বয়স ৫১ বছর।
কথা হয় ঝাড়ু বিক্রেতা সোহাগের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, গ্রামে বাজারের কাছে তার ছোট একটি দোকান আছে। অর্ডারের ভিত্তিতে কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে ঝাড়ু তৈরি ও বিক্রি করেন তিনি।
দেশের প্রায় সব জেলাতেই রয়েছে তার ঝাড়ুর কদর। তাই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসে ঝাড়ুর অর্ডার। একটা ঝাড়ু বানাতে ব্যয় হয় ১০ থেকে ১৫ টাকার মতো। ঢাকা পর্যন্ত আসতে আসতে এসব ঝাড়ুর বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
আকলিমা বেগম (৪০) নামে গৃহবধূ বাংলানিউজকে বলেন, এখন তো বাজারে অনেকরকমের ঝাড়ু পাওয়া যায়। শুনেছি বিদ্যুতের সাহায্যেও নাকি ঝাড়ু দেওয়া যায় আজকাল! তাই ফুলঝাড়ু আর নারকেলের পাতার ঝাড়ু চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে। ঝাড়ু তৈরিতে পরিশ্রম বেশি, সেই তুলনায় মুনাফা কম। তারপরও ভালো আছি কারণ, ঝাড়ু বিক্রির বাড়তি আয় থেকে পরিবারে স্বচ্ছলতা এসেছে।
এদেশের জন্য ‘ফুলঝাড়ু’ শুধু একটি সরঞ্জামই নয়, বরং একটি ঐতিহ্যও। তাই উচিত শিল্পটিকে ধরে রাখা। সরকার এ শিল্পটির দিকে নজর দিলে এই পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব বলে জানান সিরাজদিখান জয়নগর এলাকার ঝাড়ু শ্রমিক নেয়ামত আলী।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৮
এএটি/এনএইচটি


