ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

ডিএসইতে ৮২১ ও সিএসইতে ৭১ কোটি টাকা লেনদেন কমেছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৪
ডিএসইতে ৮২১ ও সিএসইতে ৭১ কোটি টাকা লেনদেন কমেছে

ঢাকা: সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সকল সূচক ও লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসই লেনদেন কমেছে ৮২১ কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সিএসই’র লেনদেন কমেছে ৭১ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ৩৯৮ টাকা।


 
এছাড়া ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স’র কমেছে ৭৬ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং সিএসই’র প্রধান সূচক সিএসসিএক্স কমেছে ১৭১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
 
ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
 
গত সপ্তাহে ডিএসইর অন্যসূচক ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৩৪ দশমিক ৩০ এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছে ২৪ দশমিক ৬২ পয়েন্ট। অন্যদিকে, সিএসই’র সিএএসপিআই সূচক কমেছে ২৫৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং সিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২৬৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২০ শতাংশ।
 
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২৩০ কোটি ৮৮ লাখ ১৮ হাজার ৬৫১ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৫২ কোটি ৭৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৭ টাকা। সুতরাং গত সপ্তাহে ডিএসই’র লেনদেন কমেছে ৪০ দশমিক ০৪ শতাংশ।
 
গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১১৯ কোটি ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৬১৭ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৯০ কোটি ৮৯ লাখ ৩৮ হাজার ২১৫ টাকা। সুতরাং গত সপ্তাহে সিএসই’র লেনদেন কমেছে ৭১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
 
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইর সাধারণ সূচক (ডিএসইএক্স) ছিল ৪ হাজার ৬৩৫ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫৫৮ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক (ডিএসইএক্স) কমেছে ৭৬ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
 
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সিএসইর সিএসসিএক্স সূচক ছিল ৯ হাজার ৩০ পয়েন্টে। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৮৫৯ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ১৭১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
 
অন্যদিকে গত সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসেই ডিএসই ও সিএসই’র সূচকে মিশ্র প্রবণতা ছিল। এছাড়া কমেছে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম।
 
গত সপ্তাহের ৪ কার্যদিবসে ডিএসইর ৩০৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ২২৪টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১২টির দাম। কোনো লেনদেন হয়নি ২টি প্রতিষ্ঠানের। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ১০৩টির, কমেছে ১৮৫টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১১টির দাম। কোনো লেনদেন হয়নি ৩টি প্রতিষ্ঠানের।
 
এদিকে মোট ৪ কার্যদিবসের ডিএসই’র দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় দাঁড়ায় ৩০৭ কোটি ৭২ লাখ ৪ হাজার ৬৬৩ টাকা; যেখানে এর আগের সপ্তাহে গড় ছিল ৪১০ কোটি ৫৪ লাখ ৭১ হাজার ৮১৫ টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ২৫ দশমিক ০৫ শতাংশ।
 
এছাড়া ডিএসইতে কমেছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২২ কোটি ৯৭ লাখ ৬৪ হাজার ৯১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যেখানে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ছিল ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৩১ হাজার ৯৮১টি। সুতরাং গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন কমেছে ৩৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।
 
সাপ্তাহিক দাম বাড়ার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- আইপিডিসি (১৩ দশমিক ১১ শতাংশ দাম বেড়েছে), ন্যাশনাল টিউবস (৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ), প্রগতি ইন্সুরেন্স(৮ দশমিক ০৫ শতাংশ), রেনউইক যজ্ঞেশ্বর (৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ), গ্লাসগো স্মিথ ক্লাইন (৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ), বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ), ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (৬ দশমিক ০১ শতাংশ), বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম (৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ), ঢাকা ব্যাংক (৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ) এবং দ্বিতীয় আইসিবি মি. ফান্ড (৪ দশমিক ৬০ শতাংশ)।
 
অন্যদিকে সপ্তাহ শেষে দাম কমার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- সাউথইস্ট ব্যাংক (১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ দাম কমে), সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ (১৩ দশমিক ০৩ শতাংশ), রহিমা ফুড (১২ দশমিক ৯০ শতাংশ), আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক (১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ), হাক্কানী পাল্প (১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ), স্টান্ডার্ড সিরামিকস (১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ), কে অ্যান্ড কিউ (৯ দশমিক ৪১ শতাংশ), আরামিট সিমেন্ট (৮ দশমিক ৫১ শতাংশ), ইউনাইটেড লিজিং (৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ) এবং আলহাজ টেক্সটাইল (৭ দশমিক ০৭ শতাংশ)।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।