ঢাকা: দেশের বিমা খাত নিয়ে নেতিবাচক খবর না প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে বেসরকারি বিমা কোম্পানিদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)।
রোববার (২৬ জুন) জরুরি বৈঠকে গণমাধ্যমগুলোকে এ অনুরোধ জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন, সহ-সভাপতি আহসানুল ইসলামসহ বিআইয়ের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা।
সংগঠনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২২ জুন গণমাধ্যমে ১৭টি জীবন বিমা কোম্পানির পলিসি হোল্ডারদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বিমা সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং বিমা গ্রহীতা ও সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্তিতে ফেলেছে।
দেশে ১৯৫৮ সালের বিমা বিধিমালার ৩৯ নং বিধিতে জীবন বিমার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সীমা নির্ধারণ করা আছে, যা বর্তমানে বলবৎ। ১৯৫৮ সালের বিমা বিধিমালার ৩৯ নং বিধিতে জীবন বিমার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সীমা নির্ধারণ করা আছে, যা বিমা আইন ২০১০ এর ৬২(১) ধারার অধীনে বিমা বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে।
বিমা আইন ২০১০’র ৬২(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো বিমা কোম্পানি ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সীমা লংঘন করলে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের বিষয়ে নতুন বিধি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ বিধিতে কোম্পানিগুলোর পক্ষে সময়োপযোগী ব্যয় নির্ধারণ করে খরচ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই উপরোল্লিখিত কর্ম-পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে জীবন বিমা কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় সম্পর্কিত সমস্যা সমাধান করতে হচ্ছে।
বিমা কোম্পানিগুলোতে প্রতিবছর একচ্যুরিয়াল ভেল্যুয়েশন করা হয় এবং ভেল্যুয়েশন করার সময় পলিসি হোল্ডারদের পলিসি বোনাস ও শেয়ার হোল্ডারদের ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ১৭টি জীবন বিমা কোম্পানিই পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। যে কারণে তাদের অ্যাকাউন্টস অডিট করা হয় এবং এজিএম’র মাধ্যমে অডিট অ্যাকাউন্টস পাস করা হয়। এখানে লুকানো বা গোপন করার কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৬
এমএফআই/জেডএস