ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

পুঁজিবাজারমুখী হচ্ছেন নারীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৭
পুঁজিবাজারমুখী হচ্ছেন নারীরা

ঢাকা: ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও অন্যান্য খাতের পাশাপাশি এখন পুঁজিবাজারমুখী হচ্ছেন নারীরা। চাকরি, বিনিয়োগ, মালিকের পাশাপাশি পুঁজিবাজার পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
 

স্টক এক্সচেঞ্জ ও সিডিবিএলের সূত্র মতে, ১০ হাজারের বেশি নারী স্টক এক্সচেঞ্জের বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ, স্টক এক্সচেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। আর বাজারে ৮ লাখ নারী এখন বিনিয়োগ করছেন।


 
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজার ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা, এখানে বিনিয়োগ কিংবা চাকরি করার জন্য প্রয়োজন শিক্ষিত ও স্মার্ট হওয়া। আগের সময়ে মেয়েদের শিক্ষার হার কম থাকার পাশাপশি সামাজিক পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় নারীদের অংশগ্রহণ কম ছিলো। কিন্তু এখন সেই চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। যার প্রমাণ নারীরা এখন পুঁজিবাজার পরিচালনা দায়িত্বে রয়েছেন।

এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এক সময় কালেভদ্রে পুঁজিবাজারে দু’একজন নারীর দেখা মিলতো। এদের মধ্যে কেউ আসতেন স্বামী, বাবা, ভাই বা অন্য কারও ব্যবসার খোঁজ নিতে। কেউ আসতেন নিজের ব্যবসা দেখাশোনা করতে। তবে এদের বেশিরভাগই ছিলেন প্রাইমারি বা আইপিওর ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে সে চিত্র বদলে গেছে। এখন প্রতিদিনই পুঁজিবাজারে নারীর অংশগ্রহণ প্রত্যক্ষ।

সূত্র জানায়, ডিএসইতে আড়াই’শ ব্রোকারেজ হাউজ রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি হাউজের মালিক এখন নারী। শুধু তাই নয়, ডিএসইর পরিচালনা-পর্ষদে মোনোয়ারা হাকিম আলী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  
 
অন্যদিকে ডিএসই মালিকদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) নির্বাচিত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মডার্ন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই নাহারীন মুন্নী। আর ১২টি ব্রোকারেজের মালিকরাও পুঁজিবাজার পরিচালনার দায়িত্বে আসছেন।
 
নারী মালিকানাধীন হাউজগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিংবা প্রধান নির্বাহী হিসেবে যারা কাজ করছেন তাদের সবাই নারী। আশা করা যাচ্ছে পুঁজিবাজারে নারীদের অবদান দিন দিন বাড়বে।  

মালিকরা হলেন- ডিএমআর সিকিউরিটিজের মৈত্রেয়ী বিশ্বাস, কে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কনসালট্যান্টের দিল আফরোজ কামাল, এডি হোল্ডিংসের ফারজানা আজিম, ফরিদা রাকিব সিকিউরিটিজের ফরিদা রাকিব, শাহ সগিরের তাহমিনা জামান, বুড়িগঙ্গা সিকিউরিটিজের ইসমত আরা, ইউনাইডেট ফিন্যান্সিয়াল সিকিউরিটিজের মাসুদা হক, মডার্ন সিকিউরিটিজের খুজিস্তা নূর-ই-নাহারীন ও এএসইএনজেডের লাইলুন নাহার ইকরাম অন্যতম।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সর্বশেষ তথ্য মতে, বর্তমানে ২৯ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭৯টি বেনিফিশিয়ারি ওর্নাস (বিও) অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষের বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২১ লাখ ৪৮ হাজার ২৩টির। আর ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪০২টি বিও হিসাব নারীর।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৭ 
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।