ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

ফান্ড ম্যানেজারদের কর মওকুফের দাবি ভিসিপিইএবি’র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৪ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৭
ফান্ড ম্যানেজারদের কর মওকুফের দাবি ভিসিপিইএবি’র ফান্ড ম্যানেজারদের কর মওকুফের দাবি ভিসিপিইএবি’র

ঢাকা: ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ফান্ড ম্যানেজারদের (সম্পদ ব্যবস্থাপক) ওপর ৩৫ শতাংশ কর রাখা হয়েছে। তা মওকুফের দাবি জানিয়েছে ভেঞ্চার ক্যাপিটালে অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুয়েটি অ্যাসোসিয়েশসন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিইএবি)।

রোববার (১১ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এমন দাবি করা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

বাজেটে প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, বিকল্প বিনিয়োগ তহবিলকে কর মুক্ত রাখায় সরকারকে ধন্যবাদ।

কিন্তু বিকল্প বিনিয়োগ তহবিলের সম্পদ ব্যবস্থাপকদের ওপর ৩৫ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স রাখা হয়েছে, তা মওকুফের দাবি জানাই। কারণ পৃথিবীর কোনো দেশে এ খাতের ওপর কর নেই। যদি বাতিল না করা হয় তবে এ সেক্টরের উন্নতির অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।  

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি শামীম আহসান, মহাসচিব শওকত হোসেন, কোষাধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম এবং পরিচালক ওয়ালি উল মারুফ মতিনসহ পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
লিখিত বক্তব্যবে সভাপতি শামীম আহসান বলেন, ব্যাংক, এনবিএফআই এবং পুঁজিবাজারের বিকল্প বিনিয়োগ ব্যবস্থাকে সম্প্রসারণ ও গতিশীল করার জন্য সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে সরকার এ তহবিলকে করমুক্ত করেছে। এ ছাড়াও আইসিটি ডিভিশনে ৩ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের ওপর থেকে ভ্যাট কমানোর পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি খাতে ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ায় ধন্যবাদ জানাই।
 
তিনি বলেন, এ খাতে অর্থায়ন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত পেতে ৭ থেকে ৮ বছর সময় লেগে যায়। এ সময় টিকে থেকে ব্যবসা পরিচালনা করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এই খাতের ফান্ড ম্যানেজারদের কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য কর মওকুফ সুবিধা দেওয়া দরকার।
 
সংগঠনের পরিচালক ও মসলিন ক্যাপিটালের এমডি ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন বলেন,ভেঞ্চার ক্যাপিটাল নিয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ২টি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যেখানে এই খাতে বিনিয়োগের সুযোগটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই খাতে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের একটি সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
  
তিনি বলেস, স্টার্টআপরা মূলত ব্যাংক কিংবা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহায়তা পায় না। তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে ভেঞ্চার ক্যাপিটালই এগিয়ে আসে। তাই এ খাতের বিকাশের স্বার্থেই ফান্ড মানেজারদের কর অব্যাহতি প্রয়োজন।
 
২০১৫ সালে অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট বিধি পাশ করা হয়েছে। এরই আলোকে বাংলাদেশে কয়েকটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও প্রাইভেট ইক্যুইটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। আর এসব ভেঞ্চার ক্যাপিটালকে নিয়েই ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভিসিপিইএবি। এখন পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকার অর্থ ব্যবহার করেছে। সংগঠনের সদস্যরা আগামী ২ বছর আরো ৫০ কোটি টাকার আইটি সেক্টরের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাদ্য খাতে অর্থ ব্যয় হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।