ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

পুঁজিবাজার থেকে সরকারের আয় আড়াই হাজার কোটি টাকা

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৭
পুঁজিবাজার থেকে সরকারের আয় আড়াই হাজার কোটি টাকা

ঢাকা: গত সাত অর্থবছরে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। যার সিংহভাগই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে।

এছাড়া অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও বিনিয়োগকারীদের শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সরকারের রাজস্বে ভূমিকা রেখেছে।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১০-১১ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত সময়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই থেকে সরকারের আয় হয়েছে ১ হাজার ৬৫০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

সিএসই থেকে আয় ১২৮ কোটি ৫৮ লাখ এবং সিডিবিএল থেকে আয় হয়েছে ৭৬৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা ব্রোকাজের হাউজের লেনদেন, উদ্যোক্তা-পরিচালক লেনদেন এবং বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব থেকে দেওয়া হয়েছে।
 
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির তুলনায় পুঁজিবাজারের আকার বাড়ছে না। পুঁজিবাজারে ভালো ভালো কোম্পানি আসছে না। এ কারণে লেনদেনও বাড়ছে না। যার ফলে গত ৫ বছর, আগের দুই বছরের তুলনায় পুঁজিবাজার থেকে সরকারের রাজস্ব আয় কম হয়েছে।
 
তবে সরকারের আয় আরো বাড়বে উল্লেখ করে এ বিষয়ে তারা স্টক এক্সচেঞ্জকে ট্যাক্স হলিডে দেওয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি ভালো ভালো সরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে সরকারের এখান থেকে রাজস্ব আয় আরো অনেক বাড়বে বলে মনে করেন।
 
এ বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কেএএম মাজেদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জকে ট্যাক্স হলিডে দেওয়া হলে, স্টক এক্সচেঞ্জের সক্ষমতা বাড়তো। এতে নতুন নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আসবে।  
 
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোসহ বাজেটে ডিএসইতে বেশ কিছু প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিলো। সেগুলো দেওয়া হলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়তো। ফলে সরকার এখান থেকে আরো বেশি রাজস্ব পেতো।
 
সিএসই’র এমডি সাইফুর রহমান মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে জরুরি ভিত্তিতে পরিকল্পনা নেওয়া দরকার। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির তুলনায় পুঁজিবাজারে ১ হাজার কোম্পানির তালিকাভুক্তির প্রয়োজন। ভালো ভালো সরকারি ও বিদেশি কোম্পানি বাজারে এলে এমনিতেই সরকার রাজস্ব বেশি পাবে।  
 
আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৫৩ বিবিবি ধারা অনুযায়ী ব্রোকারেজ হাউজের লেনদেন, স্পন্সর এবং প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারের সিকিউরিটিজ বিক্রি লেনদেন থেকে রাজস্ব আয় দেওয়া হয়।
 
এছাড়াও গত দুই অর্থবছর ধরে ৫৩এন ধারা অনুযায়ী শেয়ার হস্তান্তরজনিত মূলধনী মুনাফার উপর কর কর্তন বাবদ এবং শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে লভ্যাংশ আয়ের উপর উৎসে কর যোগ হয়েছে। সব মিলে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ সরকারি কোষাগারে ১ হাজার ৭৭৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা জমা দিয়েছে।
 
অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের বিও ফি থেকে সিডিবিএল সরকারি কোষাগারে ৭৬৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা জমা দিয়েছে। সব মিলে তিন প্রতিষ্ঠান সরকারকে ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ১০ লাখ টাকা দিয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৭
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।