বুধবার (০৭ মার্চ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৩৩তম কমিশন সভায় সিএসইকে নতুন করে এ সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ৫ মার্চ সিএসইর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
কৌশলগত বিনিয়োগকারী চূড়ান্ত করতে চলতি বছরের ৮ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলো বিএসইসি। সেই সময় শেষ হওয়ার একদিন আগেই নতুন করে আরও এক বছর সময় বাড়ালো কমিশন।
কমিশন বলছে, যোগ্য কৌশলগত বিনিয়োগকারী নির্ধারণে সিএসই কাজ করছে। এরইমধ্যে ৪৬টি স্টক এক্সচেঞ্জে ও ৪২টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীকে চিঠি পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে কমিশনের নিবার্হী পরিচালক সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগের সভায় সিএসইর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন ২০১৩ এর ১৪(১) ধারার ক্ষমতা বলে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তি করাসহ এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও এক বছর সময় দেওয়া হয়েছে।
ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিমের শর্ত অনুযায়ী, ব্লকড হিসেবে থাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ৬০ শতাংশ শেয়ার কৌশলগত, প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের মোট শেয়ারের ২৫ শতাংশ (সংরক্ষিত শেয়ার থেকে) কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে এবং বাকি ৩৫ শতাংশ শেয়ার আইপিও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে বিক্রি করতে হবে। অন্যদিকে ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিক স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য বা ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, মার্চ ০৭,২০১৮
এমএফআই/জেডএস