ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

১৫ কোম্পানির শেয়ারের পেছনে ছুটছেন বিনিয়োগকারীরা

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৮
১৫ কোম্পানির শেয়ারের পেছনে ছুটছেন বিনিয়োগকারীরা

ঢাকা: ব্যবসা সম্প্রসারণ কিংবা কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই ‘কারসাজি চক্রের প্রলোভনে’ দুর্বল মৌলভিত্তি ও ছোট মূলধনী ১৫টি কোম্পানির শেয়ারের পেছনে ছুটছেন বিনিয়োগকারীরা।

কোম্পানিগুলো হলো- সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, মুন্নু সিরামিক, ইমাম বাটন, রহিম টেক্সটাইল, জুট স্পিনার্স, কেপিসিএল, দুলামিয়া কটন, এসকে ট্রিমস, স্টাইল ক্রাফট, আজিজ পাইপ, এমএল ডাইং, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, নূরানী ডাইং এবং সাভার রিফ্রেক্টরিজ লিমিটেড।

অভিযোগ পাওয়া যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং মেবাইলের মাধ্যমে এসব কোম্পানি শেয়ারের দাম বাড়বে, কত পর্যন্ত বাড়বে বলে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে নিজেদের পছন্দ মতো দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে শেয়ার বিক্রি করে দেয়।

তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লোভে পড়ে যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে বেশি দামে শেয়ার কিনে লোকসানে পড়ছেন।

সম্প্রতি এই কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় দেশের দুই পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে। কর্তৃপক্ষ এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য রয়েছে কিনা জানতে চেয়ে কোম্পানিগুলোর কাছে চিঠি পাঠায়। উত্তরে কোম্পানিগুলোও জানিয়েছে দাম বাড়ার মতো কোনো যৌক্তিক কারণ তাদের জানা নেই। তারপরও কারসাজি চাক্রের কারণে এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ছেই।

এই অবস্থায় ডিএসইর পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে সতর্ক করা হলেও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিষয়টি স্বীকারও করছে বিএসইসি কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে কমিশনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, বাজারে একটি গ্রুপই থাকেন যারা টার্গেট করে স্বল্প মূলধনী ও দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। মুনাফা তুলে নেন। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা গুজবের ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ করে লোকসানে পড়েন।

এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তিনি বলেন, ‘বিএসইসি একটি সিস্টেমের মধ্যে চলে, চাইলেই প্রতিদিন শেয়ারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ব্যবস্থা নেয় না। নিলে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ’

ডিএসই সূত্র মতে, সম্প্রতি সময়ে দুর্বল মৌলভিত্তি সম্পন্ন ‘জেড’ ক্যাটাগরির দুলামিয়া কটনের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১১ টাকা। জুট স্পিনার্সের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪৫ টাকা। সাভার রিফ্রেক্টরিজের শেয়ারের দাম ২৮ টাকা বেড়েছে। নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের শেয়ারের দাম ১১০ টাকা বেড়েছে। ইমাম বাটনের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ টাকা।

‘এ’ ক্যাটাগরির ছোট মূলধনী কোম্পানি রহিম টেক্সটাইলের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১২৪ টাকা। খুলনা পাওয়ার কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১১ টাকা। এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের দাম বেড়েছে ১০ টাকার বেশি।

এছাড়াও স্টাইল ক্রাফটের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১ হাজার ৬৪৭ টাকার বেশি। আজিজ পাইপের শেয়ার দাম বেড়েছে ২৭ টাকা। সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৩ টাকা এবং মুন্নু সিরামিকের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০৬ টাকা।

অন্যদিকে ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানি নূরানী ডাইংয়ের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪ টাকা এবং এসকে ট্রিমসের শেয়ার দাম বেড়েছে ১০ টাকার বেশি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।