ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছে ২৩১৮ কোটি টাকা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২০
ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছে ২৩১৮ কোটি টাকা

ঢাকা: গত সপ্তাহের সব কার্যদিবসেই পুঁজিবাজারের সূচক ছিল ইতিবাচক। নতুন বছরও ইতিবাচক হবে এমনটাই প্রত্যাশা বিনিয়োগকারীদের।

বিদায়ী সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে দুই হাজার ৩১৮ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসই সূচকের সঙ্গে টাকার পরিমাণে লেনদেনও বেড়েছে।

আর বিষয়টিকে বাজারের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা।  

বিনিয়োগকারীদের মতে, গতবছর সূচক কমতে কমতে তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে, এখন আর কমার সুযোগ নেই। তাই নতুন বছরে পুঁজিবাজার ইতিবাচক হবে বলে প্রত্যাশা তাদের।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার সম্মিলিত বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আতাউল্লাহ নাঈম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি নতুন বছরে পুঁজিবাজার ইতিবাচক হবে। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ডিএসইর বৈঠক বাজারে আস্থা বাড়ানোর জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখবে। আমরা আশা করছি অতীতের সব সমস্যা দূর করে বাজারকে তারা ইতিবাচক করবেন। আর অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যে উদ্যোগ এটি অব্যাহত থাকলে নতুন বছরে বাজারে ইতিবাচক ধারা বজায় থাকবে।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ডিএসইর বৈঠকে যে প্রস্তাবনাগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন চান বিনিয়োগকারীরা। এ ব্যাপারে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ডিএসইকে যে প্রস্তাবনাগুলো দিয়েছে তার দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। একইসঙ্গে  যে দশ হাজার কোটি টাকার ফান্ডের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেটি দ্রুত বাজারে আনতে হবে। এই ফান্ড বাজারে এলে  মুজিববর্ষে পুঁজিবাজার ইতিবাচক হবে ও বাজারে লেনদেন বাড়বে।

জানা যায়, গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। শেষ কার্যদিবসে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় তিন লাখ ৪০ হাজার ৮১১ কোটি টাকায়। অর্থাৎ ডিএসইর বাজার মূলধন দুই হাজার ৩১৮ কোটি টাকা বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে এক হাজার ৩০২ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার ৭৩১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২২৩ কোটি ৮৩ লাখ ১০ হাজার ৪০১ টাকা বা ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৭৯ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার ৩৩০ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৩২৫ কোটি ৭২ লাখ ৩৫ হাজার ১৮২ টাকার। যা আগের সপ্তাহে ছিল ২৬৯ কোটি ৭৬ লাখ ৫৭ হাজার ৫৮২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন বেশি হয়েছে ৫৫ কোটি ৯৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ টাকার।  

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪০ পয়েন্ট বা ০.৯২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৫৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট বা ১.৪৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০৯ পয়েন্টে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বা ০.১৯ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০৬ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৫৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৩২টির বা ৬৫ শতাংশের, কমেছে ৮৬টির বা ২৪ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির বা ১১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর। দুটি কোম্পানির লেনদেন হয়নি।

সপ্তাহজুড়ে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো- খুলনা পাওয়ার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, স্কয়ার ফার্মা, বিকন ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, ড্যাফোডিল কম্পিউটার, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে ৬১ কোটি ২৭ লাখ ২৩ হাজার ৪৭৮ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৬ কোটি ৮০ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৪ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে ৫ কোটি ৫৩ লাখ ৫২ হাজার ৪৫৬ টাকা বা ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮০ পয়েন্ট বা ০.৫৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৪৪ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ৪৫ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৮৮ পয়েন্ট বা ০.৭৭ শতাংশ এবং সিএসআই ১০ পয়েন্ট বা ১.২০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ২০৮ পয়েন্ট, ১১ হাজার ৪৪০ পয়েন্ট ও ৮৬৫ পয়েন্টে। তবে সিএসই-৫০ সূচক ১ পয়েন্ট বা ০.১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮৫ পয়েন্টে।

আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৯০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টির বা ৬১ শতাংশ, দর কমেছে ৮০টির বা ২৮ শতাংশ এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির বা ১১ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
এমএমএকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।