ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

সূচকের বড় পতন, লেনদেন বন্ধের দাবি বিনিয়োগকারীদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
সূচকের বড় পতন, লেনদেন বন্ধের দাবি বিনিয়োগকারীদের ডিএসই

ঢাকা: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বুধবারও (১৮ মার্চ) পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে। এই দিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচক ১৬৮ ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৪৪২ পয়েন্ট কমেছে। রোববার ও সোমবারও সূচকের বড় পতন হয় পুঁজিবাজারে।

বুধবার ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে সূচকের টানা পতনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিনিয়োগকারীরা।

অনতিবিলম্বে দুই সপ্তাহের জন্য লেনদেন বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে সম্মিলিত বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আতাউল্লাহ নাঈম বাংলানিউজকে বলেন, করোনা আতঙ্কে মার্কেট পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাবো। আমাদের যতটুকু পুঁজি আছে তাও শেষ হয়ে যাবে ফোর্স সেলের মাধ্যমে। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে লেনদেন বন্ধ রাখার দাবি জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, অন্তত ১০দিন লেনদেন বন্ধ রেখে কিছুটা হলেও আমাদের স্বস্তি দিক বিএসইসি।

এই পরিস্থিতিতে মার্কেট বন্ধ রাখা ছাড়া কোনো উপায় নেই বলে জানালেন ইবিএল সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ বোরহান।

তিনি বলেন, টানা পতনে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ছি। এভাবে চলতে থাকলে শেষ সম্বল টুকু থাকবে না। তাই অনতিবিলম্বে লেনদেন বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।

অন্যদিকে অর্থমন্ত্রীসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের বৈঠকের পরেও বাজারে কোনো ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা যায়নি। আতঙ্কে স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয় যাওয়ায় বাজারে আতংক  বেড়েছে। তাই এই মুহূর্তে দুই সপ্তাহের জন্য লেনদেন বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে আমরা দুই সপ্তাহের জন্য লেনদেন বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছি। এরমধ্যে সংশ্লিষ্টরা বাজার স্থিতিশীলতায় কাজ করে তারপর লেনদেন চালু করলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়বেন না বলে তিনি জানান।

অন্যদিকে বুধবার লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইর মূল্যসূচক ডিএসইএক্সের বড় পতন ঘটে। ডিএসইএক্স ১৬৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩৯ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ৬১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮৩৪ ও ১২০৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে বুধবার টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪২৯ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ২৩ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪০৬ কোটি টাকার।

ডিএসইতে বুধবার ৩৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে, দর কমেছে ৩৩৩টির এবং ১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ডিএসইতে বুধবার টাকার পরিমাণে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো-স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, মুন্নু সিরামিক, লাফার্জহোলসিম, ওরিয়ন ফার্মা, ব্রাক ব্যাংক, বিএটিবিসি, কেপিসিএল, বেক্সিমকো ও সীপার্ল।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৪৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে। এই দিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৪৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ২১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির দর। বুধবার সিএসইতে ১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ২ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি টাকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
এসএমএকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।