ময়মনসিংহের অন্যতম স্থাপনা লোহার কুটির সংরক্ষণের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। এ সময় দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থাপনাটির প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ধ্বংসের কবল থেকে রক্ষারও দাবি জানান এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ১টা পর্যন্ত নগরীর বাতির কল সড়কে অবস্থিত এই লোহার কুটির প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন- ময়মনসিংহের প্রতিথযশা সিনিয়র সাংবাদিক ও দৈনিক কালেরকণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক নিয়ামুল কবীর সজল, সমাজকর্মী লীলা রায়, শেখ বাহার মজুমদার, তাপস মজুমদার, বিশিষ্ট শিক্ষক ও প্রত্নতত্ত্ব গবেষক স্বপন ধর, নারী নেত্রী সৈয়দা সেলিমা আজাদ, ফাহমিদা ইয়াসমীন রুনা, মনিরা বেগম অনু, মরিয়ম বেগম ময়না প্রমুখ।
এছাড়াও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন- ফারুক হোসাইন, আব্দুল কাদের চৌধুরী মুন্না, মোনালিসা, শানু, পুষ্পিতা, সপ্তর্ষি, শুভসংঘের কর্মী সৈয়দ মুবিন, নিজাম উদ্দিন সৌরভ, জিয়াদ হাসান, নাহিদ ফেরদৌস খান, ফারজানা মুন, টিটু, স্বচ্ছ দে, নাবিলা আখতার, মিটুন, খাদিজা আক্তার অপি, মোমতেহানা, বৃষ্টি রানী, নাইম, আনিতুর রহমান, মনীষা, বিবেক, তানভীর, পুষ্পিতা, আব্দুল্লাহসহ নগরীর বিশিষ্টজনরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ময়মনসিংহ নগরীতে যে কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম আলেকজান্ডার ক্যাসেল বা লোহার কুটির। সরকারি দপ্তরের তথ্যমতে ১৮৭৯ সালে লোহা ও কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয় এ দৃষ্টিনন্দন ভবনটি। ব্রহ্মপূত্র নদের পাশের এ ভবনটিতে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, লর্ড কার্জনসহ অসংখ্য গুণীজন। কিন্তু বহু বছর ধরে কোনো সংস্কার না হওয়ায় স্থাপনাটি দিন দিন ধ্বংসের পথে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনটির অনেকখানি অংশ। চুরি হয়েছে বহু মূল্যবান সামগ্রী। তবে ২০২৮ সালে এ স্থাপনাটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে গেলেও এখন পর্যন্ত এ স্থাপনাটির কোনো উন্নয়ণ কাজ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, মুক্তাগাছার জমিদার মহারাজা সুর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী শহরের জুবিলি উৎসব পালনের জন্য এ দোতলা ভবনটি প্রায় দেড়শ বছর আগে নির্মাণ করেছিলেন।
আরএ