ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

ফ্লাডলাইটের আলোয় আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কিংস অ্যারেনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৩
ফ্লাডলাইটের আলোয় আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কিংস অ্যারেনা

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় নতুন সংযোজন ‘ফ্লাডলাইট’। গত বছর দেশের প্রথম কোনো ক্লাব হিসেবে হোম ভেন্যু তৈরি করে ইতিহাস রচনা করে বসুন্ধরা কিংস।

এবার সেই মাঠে ফ্লাডলাইট স্থাপন করে নতুন উচ্চতায় ভেন্যুটি। আজ থেকে কিংস অ্যারেনায় আন্তর্জাতিক মানের ফ্লাডলাইট স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।

আজ (৫ মার্চ) দুপুরে কিংস অ্যারেনায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এরপরেই আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্লাডলাইট স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান। মাঠের চার পাশে চারটি টাওয়ার বসানো হবে। আজ একটি টাওয়ার স্থাপনের মধ্য দিয়ে কাজের শুভ যাত্রা করা হয়েছে। নিজেদের মাঠে ফ্লাডলাইট স্থাপনের কাজ শুরু হওয়ায় আনন্দিত ইমরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের ফ্লাডলাইটের কাজ টাওয়ার স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে, আমরা খুবই আনন্দিত ও অভিভূত। এই দিনটির জন্য আমাদের অনেক দিনের অপেক্ষা ছিল। আমি মনে করি এটা শুধু আমাদের না, এটা বাংলাদেশের যারা ফুটবলপ্রেমী আছে তাদের জন্য ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। কারণ বেসরকারি উদ্যোগে নিজেদের মাঠে ফ্লাডলাইট স্থাপনা বাংলাদেশে এই প্রথম। আমার জানামতে এটা শুধু বাংলাদেশে না, উপমহাদেশের প্রথম কোনো ক্লাবের মাঠের নিজস্ব ফ্লাডলাইট। ’

ফিফা ও এএফসির নির্দেশনা অনুযায়ী এই ফ্লাডলাইট স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানান কিংস সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ফিফা এবং এএফসির একটা গাইড লাইন আছে ফ্লাডলাইটের বিষয়ে। আমরা সেই গাইড লাইন মেনেই ফ্লাডলাইটের স্থাপন করেছি। এ ক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ চালাতে পারবো। পাশাপাশি এই ফ্লাডলাইট ব্রডকাস্টিংয়েরে জন্যেও সুবিধা হবে। ’

আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামে সাধারণত ১২০০ লাক্সের ফ্লাডলাইট স্থাপন করা হয়। কিন্তু কিংস অ্যারেনায় ক্যাটাগরি এ, এইচডি মানের ২৫০০ লাক্সের ফ্লাডলাইট বসানো হচ্ছে। ফ্লাডলাইট স্থাপনের দায়িত্বে আছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ইলেকট্রনিক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী লক্ষণ কুমার দে। সবমিলিয়ে চারটি টাওয়ারে ফ্লাডলাইট আছে ২৮০টি। এখানে প্রতিটা লাইট হচ্ছে ১.২ কিলোওয়াট, অর্থাৎ ১২০০ ওয়াট। লাক্সের হিসেবে ২৫০০ লাক্স আলো পাওয়া যাবে জানিয়েছেন লক্ষণ কুমার।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও মিরপুর শের-ই বাংলায় অনেক সময় খেলা চলাকালে ফ্লাডলাইট বিভ্রাট ঘটে। কিংস অ্যারেনায় এই বিভ্রাট হবে না বলে জানান লক্ষণ কুমার। তিনি বলেন, ‘এখানে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ডেসকোর লাইন থাকবে, জেনারেটর থাকবে। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সমস্যা হবে না। এছাড়া ইউপিএসও থাকবে। ফলে বিদ্যুৎ নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। এখানে আমরা সোলারের ব্যবস্থাও করছি। ’

আগামী ১ মাসের মধ্যে ফ্লাডলাইট স্থাপনের কাজ শেষ করতে চায় কিংস কর্তৃপক্ষ। প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বে বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের হোম ম্যাচগুলো ফ্লাডলাইটের আলোয় আয়োজন করার ব্যাপারে আশাবাদী কিংস সভাপতি ইমরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘আশা করছি এক মাসের মধ্যে আমরা এটার কাজ শেষ করতে পারবো। কিছুদিন পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় লেগের খেলা শুরু হবে। দ্বিতীয় লেগে খেলা আমরা ফ্লাডলাইটে শুরু করবো। ’

দেশের ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসই একমাত্র ক্লাব যাদের রয়েছে নিজস্ব হোম ভেন্যু। গত মৌসুম থেকেই নিজেদের মাঠে লিগের ম্যাচগুলো খেলছে ক্লাবটি। স্টেডিয়ামের কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় এ বছর এএফসি কাপের ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। আগামী মৌসুম থেকে কিংস অ্যারেনায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা ক্লাবটির।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৩
এআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।