সিলেট থেকে: শ্রীলঙ্কা-মালয়েশিয়া ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী কাল শনিবার। এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিতে সিলেটের একটি পাঁচতারা হোটেলে ভিড় করেছে গণ্যমাধ্যমের কর্মীরা।
শুরুতেই তিনি বললেন, 'আমাদের চমক দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু উল্টো ওরাই আমাদের চমকে দিল! প্রথম ২০ মিনিটে হাই প্রেসিং ফুটবল খেলে আমাদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে মালয়েশিয়া। '
সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন, তাহলে কি বলতে চাচ্ছেন মানসিক চাপ নাকি হাই প্রেসিং ফুটবল কোনটির কাছে মাথানত করেছে বাংলাদেশ?
এর উত্তরে মামুনুল ইসলাম বলেন, 'প্রথম ২০ মিনিট মালয়েশিয়া প্রেসিং ফুটবল খেলে মাঠে তাদের প্রভাব বিস্তার করে, আর সেই সাথে বড় ম্যাচে যে ধরণের মানসিক সক্ষমতা থাকা দরকার সেটি ছিল না আমাদের। ' তাহলে কি একজন মনোবিদের সাহায্য নেয়া উচিত বাংলাদেশ দলের? এ প্রশ্নের জবাবে মামুনুল ইসলাম বলেন, হতে পারে। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট ভালো বলতে পারবে। তারা চাইলে বিষয়টি সম্ভব। '
'যে গোলটি খেয়েছি এটি বাজে ছিল। দৃষ্টি নন্দন শটে গোল হয়নি। যতই ভালো খেলি, আমরা তো হেরেছি মালয়েশিয়ার কাছে। কথা দিয়েছি সেমিতে খেলব, সামনের ম্যাচে যদি শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজিত হই তাহলে সরে দাঁড়াব' বললেন মানুনুল।
দলের বর্তমান অবস্থা কি, পরাজয়ের কারণে কি ভেঙ্গে পড়েছে সবাই? 'না, ঠিক এমনটি নয়। তবে প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের কারণে সবার মন খারাপ। বিষয়টি স্বাভাবিক, তবে অবশ্যই ভেঙ্গে পড়িনি। শ্রীলঙ্কা দলটিও বেশ ভালো। ম্যাচে এখনও সুযোগ আছে আমাদের। দেশের মাটিতে খেলা, তাই সামনের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে চাই। ' বললেন মামুনুল।
সর্বশেষ সাংবাদিকদের একটি প্রশ্ন ছিল এ ম্যাচেও কি মানসিক বা সার্বিক বিষয়গুলোর কথা ভেবে চাপ সৃষ্টি করবে খেলায়? 'না, অবশ্যই না। আমি দলের ২২ জনকে বলেছি সব চাপ আমার উপর। সব দ্বায়িত্বও আমার। তোমরা ২২ জন শুধুই ভালো খেলবে। '
এখন দেখার বিষয় নিজেদের মাটিতে মান রক্ষার ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয় কিনা লাল-সবুজের পতাকাবাহী দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ৩০ জানুয়ারি ২০১৫