ইয়াসির উবাইদ: বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে উঠতে হলে স্বাগতিক বাংলাদেশর শুধু ড্র করলেই চলবে। আর সফরকারি শ্রীলঙ্কার জয়ের কোন বিকল্প নেই।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫ এবং শ্রীলঙ্কা আছে ১৭২ অবস্থানে। এ আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উভয় দলই মালয়েশিয়ার কাছে হার দিয়ে শুরু করে।
বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার কাছে ০-১ গোলে পরাজিত হয়। আর শ্রীলঙ্কা নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে। উল্লেখ্য, এ আসরে অংশ নেয়া ছয় দলের চারটিই হচ্ছে অনূর্দ্ধ-২৩ দল। একমাত্র বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা জাতীয় দল অংশ নিয়েছে।
রোববার বিকেলে দুই দলই অনুশীলনে করে। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ এবং বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা দল অনুশীলন করে। শ্রীলঙ্কা দলের পাঁচ ফুটবলার প্রথম ম্যাচে খেলতে গিয়ে চোট পান বলে জানা গেছে। আর বাংলাদেশ দলে সে ধরণের তেমন কোন সমস্যা নেই। স্বাগতিক বলে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস খানিকটা বেশি, কিন্তু প্রত্যাশার চাপও বেশি। সবচেয়ে বেশি চাপে আছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। তিনি ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন, সেমিতে যদি বাংলাদেশ যেতে না পারে, তাহলে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি।
ওদিকে বাংলাদেশ দলের কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফের অধীনে দল অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছে টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র ৫ দিন আগে। বাবা মারা যাবার কারণে হল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আসতে দেরি করেন তিনি।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে। তাই ইতিহাস ঝুঁকে আছে বাংলাদেশের পক্ষেই। বাংলাদেশ জিতেছে ৯ বার। শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৩ বার। বাকি ২ ম্যাচ ড্র হয়। বাংলাদেশের ২০ গোলের বিপরীতে শ্রীলঙ্কা করেছে ১০ গোল। দুইদেশ সর্বশেষ মুখোমুখি হয় গত বছরের অক্টোবরে। দুই ম্যাচ সিরিজের একটিতে ০-০ গোলের ড্র ও অন্যটিতে ১-০ গোলের জয় পায় বাংলাদেশ ফুটবল দল।
এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত একটি ড্র বা প্রত্যাশিত জয়ের দেখা পায় কিনা লাল-সবুজের পতাকাবাহীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫