বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে: বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে উঠতে হলে স্বাগতিক বাংলাদেশের শুধু ড্র করলেই চলবে। এমন সহজ সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছে মামুনুল ইসলামের দল।
প্রথমার্ধের ৪০ মিনিটের মাথায় হেমন্ত ভিনসেন্টের একমাত্র গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামেন শহীদুল ইউসুফ সোহেল, রায়হান হাসান, ইয়াসিন খান, নাসির, ইয়ামিন মুন্না, জামাল ভুইয়া, মামুনুল ইসলাম, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, সোহেল রানা, জাহিদ হোসেন ও জাহিদ হাসান এমিলি।
ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটে গোলবারে শট নেয় জাহিদ হাসান এমিলি। তবে, তার শটটি দুর্বল হওয়ায় লংকান গোলরক্ষককে কোনো বেগ পেতে হয়নি। এ সময় ৬৯ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রন বাংলাদেশের পক্ষেই ছিল। জাহিদের একটি দারুণ আক্রমণে আবারো গোলের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল বাংলাদেশ। তার নেওয়া ২১ মিনিটের জোড়ালো শটটি লংকানদের গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
প্রথমার্ধের ৩২ মিনিটে লম্বা থ্রো থেকে বল পান বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তবে, নিজেদের দুর্বলতা আবারো জানান দেন লোডভিক ডি ক্রুইফের শিষ্যরা। ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ চালালেও ভালো ফিনিশারের অভাবে গোলের দেখা পায়নি লাল-সবুজরা।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে হেমন্তের ডানপায়ের জোড়ালো শটে গোল পায় বাংলাদেশ। ৪০ মিনিটে সোহেল রানার চোরা পাস এমিলির উদ্দেশ্যে। আর এমিলি বলটি প্লেস করে দেয় হেমন্ত ভিনসেন্টকে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে দৃষ্টি নন্দন পাসে গোল করেন হেমন্ত।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আরেকটি গোলের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে ডি ক্রুইফ শিষ্যরা। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় লাল-সবুজরা।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫ এবং শ্রীলঙ্কা আছে ১৭২ অবস্থানে। এ আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উভয় দলই মালয়েশিয়ার কাছে হার দিয়ে শুরু করে।
বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার কাছে ০-১ গোলে পরাজিত হয়। আর শ্রীলঙ্কা নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে। বাংলাদেশের জয় ৯টিতে আর ৩টি ম্যাচ জিতেছে লংকানরা। বাকি দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫