ঢাকা: বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে বাংলাদেশ দলের আতংকের নাম 'সেট পিস'। ম্যাচে যে ক’টি গোল তারা হজম করেছে তার অর্ধেকটাই সেট পিস থেকে।
টুর্নামেন্ট শেষে দেশ ছাড়ার আগে ক্রিস্টিয়ান বলে গিয়েছিলেন, 'দীর্ঘ সময় নিয়ে কাজ করতে হবে। আসলে ছেলেদের কোন দোষ নেই। ওরা বিষয়গুলো জানেই না। '
মঙ্গলবার বাংলাদেশে ফিরে বুধবার ক্রুইফ-শোয়েলচার পর্যবেক্ষণ করলেন প্রিমিয়ার লিগের খেলা। আর বৃহস্পতিবার ৬ শিষ্য রাসেল মাহমুদ লিটন, মামুন খান, মাজহারুল ইসলাম হিমেল, জিয়াউর রহমান, তিতুমীর চৌধুরী টিটু ও ওসমান গনিকে নিয়ে নেমে গেলেন মাঠে। তেমন কিছু নয় বেসিক বিষয়গুলো ভালো ভাবে ধাতস্থ করাতে চাচ্ছেন শিষ্যদের। যেমন শুটিং, মুভ, গ্রিপ নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব মাঠে ঘন্টা খানেক অনুশীলণ করিয়েছেন। সেখানেই দেখলেন গোলরক্ষকদের সঠিক শিক্ষার অভাব। মুভমেন্ট, জাম্প, পেনাল্টি বক্সের পজিশন সহ সেটপিস ও কর্ণারের সময় কি করণীয় তা দেখালেন তিনি। তবে শিষ্যদের ফিটনেস নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট না ক্রিস্টিয়ান।
শনিবার আবার পরবর্তী সেশনে ডাকবেন মোহামেডানের গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল ও আশরাফুল হক রানাকেও। ক্রিস্টিয়ানের মতে ভালো গোলরক্ষক হবার প্রধান শর্ত, 'উচ্চতা'
আর হেড কোচ ডাচম্যান ক্রুইফের চোখে, 'গোলরক্ষক ও স্টপারদের উচ্চতা ৬ ফুটের কম হওয়া ঠিক না। এর কম হলে তার মিডফিল্ডে খেলা উচিত। ’
আর এর আগের ক্যাম্পে দেশসেরা অন্যতম গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্যকে সহকারি হিসেবে রেখেছিলেন ক্রুইফ। এবারও বিপ্লব থাকছেন। এ সম্পর্কে ক্রুইফ বলেন, ‘একটি লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই স্থানীয় পর্যায়ে ভবিষ্যতের জন্য গোলরক্ষক কোচ তৈরি করতে। ভালো কেউ থাকলে ফেডারেশন তাকে নিতে পারে। বিপ্লবকে আমি নিয়েছিলাম, দীর্ঘদিন বড় দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। হয়তো ২/৩ বছর পর ফুটবল ছেড়ে দিবে। তখন বিপ্লবকে পুরোপুরি কাজে লাগানো যাবে। তবে তার আগে বিদেশি কোচের অধীনে কোচিং করানোটাই ভালো। ’
ক্রিস্টিয়ানের তালিকায় নাইম, সুজন ও বিকেএসপির দুই দীর্ঘকায় গোলরক্ষকও আছেন। তবে বাফুফের নির্দেশ ছাড়া তাদের এখনই ডাকতে চান না ক্রিস্টিয়ান।
এ সম্পর্কে তিনি জানালেন, 'একটা লক্ষ্য ধরে কাজ শুরু করেছি। আপাতত জাতীয় দলের গোলরক্ষকদের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি। পরবর্তীতে বয়সভিত্তিক তরুণদের নিয়ে কাজ করব। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ৩০ এপ্রিল ২০১৫
ইয়া/এমআর