পাকিস্তান ও ওমান নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় হঠাৎ করেই বড় মঞ্চে খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হকি দল। ভারতের বিহার প্রদেশের রাজগীর শহরে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা শুরু হবে ২৯ আগস্ট, চলবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
মোট আটটি দল অংশ নিচ্ছে এশিয়া কাপে। দলগুলোকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। বাংলাদেশের গ্রুপে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া, র্যাংকিংয়ের ১২ নম্বরে থাকা মালয়েশিয়া এবং অপেক্ষাকৃত দুর্বল চাইনিজ তাইপে (র্যাংকিং ৩৮)। অন্য গ্রুপে রয়েছে স্বাগতিক ভারত, জাপান, চীন এবং নতুন অন্তর্ভুক্ত কাজাখস্তান, যারা খেলছে ওমানের স্থলাভিষিক্ত হয়ে।
প্রথম দিনই কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি বাংলাদেশ। উদ্বোধনী দিনে প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া। ৩০ আগস্ট দ্বিতীয় ম্যাচে খেলবে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে। এরপর ১ সেপ্টেম্বর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লড়বে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে।
র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে বাংলাদেশের গ্রুপটি বেশ কঠিন। বাংলাদেশের বর্তমান র্যাংকিং ২৯ হলেও মালয়েশিয়া ও কোরিয়া অনেক এগিয়ে। চাইনিজ তাইপের (৩৮) বিপক্ষে এগিয়ে থাকলেও বাকি দুই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয় পাওয়া হবে বড় চ্যালেঞ্জ। ২০২৩ সালের আসরে মালয়েশিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কোরিয়া, এবার সেই দলই বাংলাদেশের গ্রুপে। সুপার ফোরে জায়গা করে নিতে হলে অন্তত দুটি ম্যাচে ইতিবাচক ফল আনতে হবে লাল-সবুজকে।
এশিয়া কাপ এবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মঞ্চও। আসরের চ্যাম্পিয়ন সরাসরি খেলবে ২০২৬ সালে নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য হকি বিশ্বকাপে। এছাড়া শীর্ষ পাঁচ দল সুযোগ পাবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশ নেওয়ার।
হঠাৎ পাওয়া এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের প্রমাণ করাই এখন বাংলাদেশের লক্ষ্য। প্রস্তুতি সেভাবেই নিচ্ছে লাল-সবুজের হকি দল।
এআর