ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

পুরস্কার পাচ্ছেন জিয়া-লিজা-রানী হামিদরা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৬
পুরস্কার পাচ্ছেন জিয়া-লিজা-রানী হামিদরা

ঢাকা: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দাবায় গৌরবোজ্জ্বল সাফল্য ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দাবা বিষয়ক দেশের একমাত্র অনলাইন নিউজ পোর্টাল চেসবিডি ডটকম দাবার বিভিন্ন সেক্টরের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে। শিগগিরই জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে বলে আয়োজকরা জানান।

পুরস্কার প্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিম্নে তুলে ধরা হলো।

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান: বাংলাদেশ নৌবাহিনীর খেলোয়াড়। জাতীয় দাবায় সর্বোচ্চ ১৩বার চ্যাম্পিয়ন। বিশ্ব দাবা অলিম্পিয়াড ও বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি প্রতিনিধিত্ব করেন। বর্তমানে এশিয়ান ৩.২ জোনের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন।

আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার শামীমা আক্তার লিজা: বিশ্ব মহিলা দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে খেলা একমাত্র বাংলাদেশি খেলোয়াড়। বর্তমানে এশিয়ান ৩.২ জোনের টানা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন। জাতীয় মহিলা দাবায় চারবার শিরোপা জয় করেন। বর্তমানে তিনি পতুর্গালে বসবাস করছেন।

আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার রানী হামিদ: দেশীয় দাবার জীবন্ত কিংবদন্তি। বিশ্ব দাবা অলিম্পিয়াডে পুরুষ ও মহিলা বিভাগে জাতীয় দলের হয়ে বেশি প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জাতীয় মহিলা দাবায় ১৮বার এবং তিনবার বৃটিশ মহিলা দাবার চ্যাম্পিয়ন।

কাম্বার আলী: প্রবীণ দাবা সংগঠক ও সাবেক জাতীয় খেলোয়াড়। বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। ১৯৭৯ সালে সিলভার কিং আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এ দেশে প্রথম আন্তর্জাতিক আসরের প্রচলন করেন।

ফিদে মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান: বর্তমানে জাতীয় জুনিয়র ও জাতীয় সাব জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন। দেশের সর্বকনিষ্ঠ ফিদে মাস্টার এবং উদীয়মান খেলোয়াড়। এরইমধ্যে জাতীয় দাবাড়ু হবার কৃতিত্ব দেখান। তিনি শেখ রাসেল মেমোরিয়াল স্পোর্টিং ক্লাবের খেলোয়াড়।

হারুন অর রশিদ: ফিদে এ্যালিট প্যানেলভুক্ত আন্তর্জাতিক আরবিটার। এশিয়ান গেমস, আলাইন ক্ল্যাসিক টুর্নামেন্ট, এমন কি বিশ্ব দাবা অলিম্পিয়াডের মতো বড় আসরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। দেশের প্রধান আরবিটার তিনি।

আলমাসুর রহমান: আশির দশকে দেশের প্রথম দাবা স্কুল ড. কিউ এম হোসেন স্কুল দাবার প্রশিক্ষক ছিলেন। তার হাতে গড়া অনেক দাবাড়ুরাই এখন প্রতিষ্ঠিত। তিনি একজন সাবেক খেলোয়াড় ও আন্তর্জাতিক আরবিটার।

মহিলা ক্যান্ডিডেট মাস্টার মাহমুদা হক চৌধুরী মলি: এলিগেন্ট ইন্টারন্যাশনাল চেস একাডেমির কর্নধার। দেশের প্রথম জাতীয় মহিলা ইন্সট্রাক্টর। এক সময় জাতীয় মহিলা দলে খেলেছেন। এখন জাতীয় মহিলা দলের ম্যানেজার, দাবা সংগঠক, পৃষ্ঠপোষকতা নানা পরিচয়ে পরিচিত।

ফারজানা হোসেন এ্যানি: এক সময় জাতীয় মহিলা দাবাড়ু ছিলেন। এখন আরবিটার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করছেন। নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টিতেও সময় দিচ্ছেন। এরইমধ্যে দেশের প্রথম জাতীয় মহিলা আরবিটার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড: ঘরোয়া দাবার সর্বোচ্চ স্পন্সর প্রতিষ্ঠান। গত দুই বছরে প্রতিষ্ঠানটি যথেষ্ট স্পন্সর করেছে। সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড দাবার সঙ্গে সম্পৃক্ত হবার পর থেকে দেশীয় দাবার চেহারা বদলে যেতে শুরু করেছে।

গোল্ডেন স্পোর্টিং ক্লাব: এ মুহূর্তে জাতীয় পর্যায়ে দাবার সবচেয়ে সক্রিয় ক্লাব। স্কুল দাবা প্রচলনে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। শুধু তাই নয়, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ক্লাবটি বেশকিছু আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা: ঢাকার বাইরে একমাত্র চট্টগ্রামই ২০১৫ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চমক দেখায়। চট্টগ্রামে নিয়মিত জেলা চ্যাম্পিয়নশিপ, স্থানীয় দাবা লিগ এবং আন্তর্জাতিক রেটিং প্রতিযোগিতা করে দাবার সক্রিয় জেলায় পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, ০৩ নভেম্বর ২০১৬
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।