রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে টাইগার দলপতি বলেন, এভাবে খেলতে থাকলে ফলাফল একই থাকবে। সুনির্দিষ্ট প্ল্যান বা ট্যাকটিক্যাল প্ল্যান যাই বলেন, তা আমাদেরকে মাঠেই প্রয়োগ করতে হবে।
মাহমুদউল্লাহ আরও বলেন, যে সমস্যাগুলো হচ্ছে, তা চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে। নয়তো দল আর বড় সমস্যায় পড়ে যাবে। ২০০’র বেশি রান চেজ করতে হলে পাওয়ার প্লেতে অবশ্যই ৬০/৬৫ রান করতে হবে। তা শেষ ম্যাচে হয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবার হয়নি। এটা আমার কাছে খুব হতাশার মনে হচ্ছে।
প্রথম টি২০’তে ব্যাটসম্যানরা কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিলেন। সর্বোচ্চ স্কোর করেও হেরেছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে সিলেটের মাঠে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই ব্যর্থ বাংলাদেশ। কোথাও নূন্যতম প্রতিরোধ নেই বলেই মনে করেন টাইগার দলপতি।
রিয়াদ বলেন, আমাদের বোলাররা উইকেট নিতে পারেনি। উইকেট না ফেললে রান আটকানো সম্ভব নয়। ব্যাটিংয়ে আমরা কোনো পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে পারিনি। রান তাড়া করারও কোনো চেষ্টা ছিল না। শ্রীলংকাকে ১৮০-৯০’র মধ্যে আটকালে ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো।
তবে বাংলাদেশকে হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে শ্রীলংকান দলপতি দিনেশ চান্দিমাল বলেন, বাংলাদেশ গত কয়েকবছর খুব ভালো করেছে। এখন একটু খারাপ সময় গেছে। আমাদেরও কয়েকবছর খারাপ সময় গেছে। এতে হতাশ না হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
সাম্প্রতিক কয়েকটি সিরিজে খারাপ ফলাফলের পর এই সিরিজে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলংকা। ত্রিদেশীয় সিরিজের পর টেস্ট ও টি২০’তে স্বাগতিকদের নাকানিচুবানি খাওয়ায় হাথরুসিংহের শিষ্যরা।
চান্দিমাল মনে করেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী মাঠে প্রয়োগ করতে পারায় সাফল্য পেয়েছে দল।
তিনি বলেন, এই সিরিজ থেকে আমরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। নিজেদের উপর আস্থা ফিরে এসেছে। এটা আগামীতে কাজে লাগবে। নবীন ও অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে আমাদের দল সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এনইউ/এনএইচটি