খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণের কথা জানান বিপলু। সাংবাদিকদের বলেন, তখন অনুর্ধ্ব-১৬তে মোহামেডানের হয়ে খেলতাম।
সেদিনের কথা মনে করে বিপলু বলেন, 'এখন কতো পরিবর্তন লাগছে। এই আমি যখন মাঠের দর্শক ছিলাম, সেই আমিই এখন গোল করে দলকে জয়ী করলাম। তাও আবার নিজের মাঠে, আজকের দিনে আমিই সবচেয়ে বেশি সুখি। জাতীয় দলে তিনটি সিজন খেলেছি টানা। শেখ রাসেলের হয়েও খেলেছি। আজ পুরো টিম ভাল খেলেছে। আরো ভাল খেলতে পারতাম। ভুলের কারণে অনেকগুলো গোল মিস হয়েছে। নয়তো ব্যবধান আরো বেশি থাকতো। '
গোল করা শেষে গ্যালারিতে বসা বাবা-মা ও ভাইকে স্যালুট জানান বিপলু। এ প্রসংগে তিনি বলেন, 'এই ভাইয়ের কারণে আমি এই অবস্থানে উঠে এসেছি।
সাফে আমরা ৬ পয়েন্ট নিয়েও সেমিফাইনালে যেতে না পারাও দু:খ তাড়া করেছিল বেশ। ফলে লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে ভাল খেলার। আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল লাওসকে হারাতে পারবো। '
মিডফিল্ডে খেলা এই ফুটবলারের কাছে কি কোচের গোলের প্রত্যাশা ছিল। বিপলু জানালেন কোচ সেভাবে আমার কাছে গোল চাননি। যেহেতু স্ট্রাইকাররা ছিলেন। তবে কোচ শুধু একটা কথা বলেছেন- আক্রমণে উঠলে সবাই একসাথে উঠবে এতে যে কেউ গোল পেতে পারে। আর হয়েছেও তাই।
সিলেট নগরের সুবিদবাজার বনকলাপড়া নূরানী আবাসিক এলাকার রেহান উল্লাহর কনিষ্ঠ ছেলে বিপলু। আর বিপলুর ফুটবলের হাতেখড়ি যার কাছে, তিনি আর কেউ না, তারই বড় ভাই বাবলু। তাই তো গোল করেই তাকে সালাম জানান বিপলু।
এদিকে, খেলা শেষে উভয় দলের কোচ সংবাদ সম্মেলন করেন। লাওসের কোচ ছেলেদের খেলায় ফিরে আসার ব্যাপারে আশাবাদি এবং দলকে নিয়ে চাপে থাকা বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে’কে অনেক ফুরফেরে লাগছিল। এছাড়া পরবর্তী ম্যাচ গুলো ভাল করার জন্য সংবাদ সম্মেলনে নিজের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বাংলাদেশি স্ট্রাইকার জাবের।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘন্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৮
এনইউ/এমকেএম