শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সিলেট বিভাগীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ট্রফিটি জনসাধারণকে দেখানোর জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ট্রফিটি দেখতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের ভীড়ও ছিল লক্ষ্যণীয়।
এদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ট্রফিটি স্টেডিয়াম মাঠে দর্শনার্থীদের প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়। এরপর বিকেল ৪টায় নিয়ে যাওয়া হয় সিলেট ক্যাডেট কলেজে। সেখানে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রদর্শনী শেষে রাত সাড়ে ৮টায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে ট্রফিটি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) লিয়াজোঁ অফিসার ফয়ছল আহমদ বলেন, গত বুধবার (১৭ অক্টোবর) দুবাইয়ে আইসিসির কার্যালয় থেকে ট্রফিটি ট্যুরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন আইসিসির অফিসিয়াল কর্মকর্তা শমরেস শেটি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আসার পর ট্রফিটি প্রথমে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বঙ্গভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আনাহয় যমুনা ফিউচার পার্কে। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলে। বাংলাদেশ থেকে ট্রফিটি চার দিনের ট্যুরে নেপাল নিয়ে যাওয়া হবে ২১ অক্টোবর।
এদিকে, ট্রফিটি দেখতে উচ্ছ্বসিত ছিলেন সিলেটের মানুষ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরাও ট্রফিটি দেখতে যান। বিকেল পৌনে ৩টার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ চৌধুরী ট্রফিটি দেখতে যান।
ট্রফি দেখে উচ্ছ্বসিত শফিউল আলম বলেন, হাত দিয়ে ধরতে না পারলেও এতো কাছে থেকে দেখা অনেকটা স্বপ্নের মতো। একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ভানুজ কান্তি। তিনি বলেন, সিলেটে বিশ্বকাপ ট্রফি ঘুরে যাবে, আর দেখবো না, সেটা কি হয়।
বিসিবির কর্মকর্তা শফিউল আলম নাদেল বলেন, সিলেটের মানুষের জন্য একটি অনন্য দিন ছিল শুক্রবার। এ অঞ্চলের মানুষ সরাসরি আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ট্রফিটিও দেখতে পেরেছেন।
শনিবার (২০ অক্টোবর) ট্রফিটি চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রদর্শন করা হবে। সবমিলিয়ে পাঁচ মহাদেশের ৬০ দেশ ঘুরবে বিশ্বকাপ ট্রফি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৮
এনইউ/এএইচ